ফিচার

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বড় জুতো, জায়ান্ট টুপির ব্যবহার বাড়ছে

এই মুহূর্তে করোনা দাপটে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। করোনা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এখনও প্রতিষেধকের খোঁজ দিতে পারেননি বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা। তবে এই মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে একটি ‘ওষুধ’ অবশ্য কার্যকরী। তা হল সোশ্যাল ডিসট্যান্স বা সামাজিক দূরত্ব।  কিন্তু মানুষ দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকলেও চলবে না। রাস্তায় অথবা বাজারে বেরলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কঠিন। তাই সেই কঠিন ব্যাপারকে সহজ করতে অভিনব সমস্ত কৌশল আবিষ্কারের পন্থা নিয়েছেন মানুষ। গ্রিগোর লুপ নামে রোমানিয়ার এক জুতোর কারিগর বড় সাইজের ‘জুতো অবিষ্কার’ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কেউ আবার তৈরি করছেন ‘জায়ান্ট হ্যাট’ বা প্রকাণ্ড টুপি। একদিন বাজারে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল রোমানিয়ার বাসিন্দা লুপের। তাঁর কথায়, ‘লকডাউনের মধ্যে আমার বাগানে কিছু চারাগাছ লাগানোর জন্য বাজারে গিয়েছিলাম।

গিয়ে দেখি সামজিক বিধি মানছেন না কেউই। গাদাগাদি ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সবাই। বাড়ি ফিরে ঠিক করলাম এমন জুতো বানাবো যা পরলে হাসিমুখে সবাই সরে দাঁড়াবে।’ ১৬ বছর বয়স থেকে জুতো তৈরি করছেন লুপ। ট্রান্সেলভেনিয়ায় একটি জুতোর দোকানও রয়েছে তাঁর। দীর্ঘ ৩৯ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রকাণ্ড ‘জুতো আবিষ্কার’ করে ফেললেন তিনি। লুপ বলেছেন, দু’জন মানুষ আমার তৈরি এই জুতো পরে মুখোমুখি দাঁড়ালে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় থাকবে। এদিকে ইউরোপের পথে-ঘাটে দেখা যাচ্ছে ‘জায়ান্ট হাট’। এই সব অতিকায় বা প্রকাণ্ড টুপি মাথায় দিলে অন্তত দু’মিটারের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত। জার্মানের একটি কাফেতে এই রকম টুপি পরে দূরত্ববিধি মেনে চলছেন ক্রেতারা। টুপিটি দেখতে অনেকটা ইংরেজি ‘টি’ অক্ষরের মতো।

অর্থাৎ টুপির তিন দিকে তিনটি পাইপ দিয়ে তৈরি শিং। প্যারিসেও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে বেশ মজার টুপি পরছেন মানুষ। এইসব টুপির নির্মাণ কৌশল একটু অন্য ধরনের। টুপির পিছনের দিকে দু’মিটার লম্বা একটি স্কেল সাঁটানো। ঘাড়ের অংশকে ভরকেন্দ্র করে স্কেলটি ডানদিকে এক মিটার ও বাঁ দিকে এক মিটার বেরিয়ে রয়েছে। স্কেলের উপর লেখা, এটি এক মিটারের টুপি। দয়া করে সামাজিক দূরত্ববিধিকে সম্মান দিন।’

Loading

Leave a Reply