জেলা

স্বামীর চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছেন মিনতিদেবী।

স্বামীর চিকিৎসার খরচা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্ত্রী মিনতি দেবী। এমনটাই দেখা গেলো বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার অন্তর্গত ব্রাহ্মনডিহা গ্রামে। বাড়িতে গিয়ে দেখা গেলো একটি ছোট্ট ঘরে সুধীর দত্ত এবং স্ত্রী মিনতী দত্ত এই দুই দম্পতি বাস করেন। জানা গিয়েছে তাদের দুই মেয়ে।তাদেরও বিয়ে হয়ে শ্বশুরঘর চলে গিয়েছে।তাই এরা দুইজন থাকেন এই বাড়িতে। সুধীরবাবুর কিডনির সমস্যা রয়েছে। স্ত্রী মিনতিদেবী স্হানীয় একটি আইসিডএস কেন্দ্রে কাজ করে।তাতে কোনোরকমে টেনেটুনে তাদের সংসার চলে।সুধীরবাবুর চিকিৎসার জন্য যা খরচ লাগবে আগামীদিনে তা ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে মিনতিদেবীর।এখনো পযর্ন্ত এনাদের পাশে কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেইনি বলে জানা গেছে।

বতর্মানে যেখানে করোনা ভাইরাস যে হারে দেশ তথা রাজ্য জুড়ে বেড়ে চলেছে এবং তা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।ঠিক সেরকম ই বাঁকুড়া সহ বড়জোড়াতেও এই করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু তাথে একটুও দমাতে পারেনি মিনতিদেবীকে।
সুধীরবাবুকে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর আইকিউসিটি,হেলথওয়ার্ড,সিটি নার্সিংহোম, ড্রীমল্যান্ড, ড:অসীম মুখার্জী,বাঁকুড়া মেডিকেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখানো হয়।পরবর্তীকালে 2016 সালে অক্টোবর মাসে ধরা পড়ে এই মারন ব্যাধি। ডায়েলোসিস করাতে হয় সপ্তাহে তিন দিন।ডায়োলোসিস না দিলে ফুলে যায়।দুইমাস অন্তর অন্তর রক্ত পরিবর্তন করতে মাঝে মধ্যেই যেতে হচ্ছে হাসপাতালে। আর এই লকডাউনের বাজারে গাড়িঘড়ায় যাতায়াত করতে ভীষন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এনাদের। দীর্ঘ চারবছর ধরে ডায়োলোসিস চলছে সুধীরবাবুর। সুধীরবাবু বলেন,আমার কিডনির সমস্যা রয়েছে। কেউ যদি আমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন তাহলে খুবই উপকৃত হবো।

মিনতি দেবী বলেন,আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন।বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছে।দীর্ঘ চারবছর ধরে ডায়োলোসিস চলছে এখনো পযর্ন্ত।মাঝে মধ্যে রক্ত ও পরিবর্তন করতে যেতে হয়।আমি সামান্য আইসিডিএসে কাজ করে কোনোরকমে টেনেটুনে সংসার চালাই।এই অভাবের সংসারে ওনার চিকিৎসা খরচ,গাড়িভাড়া সহ বিভিন্ন খরচ কিভাবে আগামী দিনে চালিয়ে যাবো বুঝে উঠতে পারছি না। সংবাদমাধ্যম,সমস্ত জনসাধারণ এবং বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের আবেদন জানাই কেউ যদি আমাদের সাহায্য করেন তাহলে হয়তো আমি আমার স্বামীর চিকিৎসা আগামীদিনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।মিনতীদেবীর এই হার না মানা লড়াইকে কুর্নীশ জানাই।

Loading

Leave a Reply