রাজ্য

হাতরাস কান্ড নিয়ে পথে নামলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। উঠে এলো সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ।

প্রতিবাদের পথে নেমে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয় হাতরসে পুলিশের ধাক্কায় রাজ্যসভার তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ধরাশায়ী হলে। মমতা জানান, রাজপথে নামবে তৃণমূল। সেই পরিকল্পনা মতোই বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধিমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে ছিল প্রতিবাদের প্রতীকী টর্চ।মিছিল শেষে মমতা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, “সিঙ্গুরে প্রতিবাদ করেছি। আজও করব।” তাঁর কথায়, “দেশে কোথাও গণতন্ত্র নেই। মমতার কটাক্ষ, “দেশে আজ আর মহাত্মা গান্ধি, আম্বেদকর মহাপুরুষ নন, দেশে একমাত্র মহাপুরুষ বিজেপি।”

মমতার বলেন, “আমার মন পড়ে আছে ইউপির ওই গ্রামে। গতকাল  সেখানে প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম গ্রামের এক কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে দেওয়া হল। শুধু আটকে দেওয়াই নয়, ভদ্রতাও দেখানো হয়নি। মেয়েদেরও মারা হয়।”এদিন মমতাকে দেখা যায় পুরনো মেজাজে। উত্তরপ্রদেশের দলিত কন্যার দেহ পরিবারের অনুমতি না নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার কড়া নিন্দা করেন মমতা। সিঙ্গুর বিরোধিতার সময়ের রণং দেহি মেজাজেই মমতা কৃষক আন্দোলন দলিত নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি সবকিছু একতরফা করছে। বিজেপি দাঙ্গা চালাচ্ছে। দেশ এখন একনায়কের জনয। কৃষক দলিতরা অন্ধকারে। মুসলিমের পাশে দাঁড়াতে হবে।

সব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। ” মমতা এদিন সিঙ্গুরে তাঁর অনশনের প্রসঙ্গও তুলে আনেন। আসে তাপসী মালিকের মৃত্যুর বিষয়টি। তাঁর কথায়, “সেদিন সিঙ্গুরে যা হয়েছিল আজ উত্তরপ্রদেশেও তাইই হয়েছে। উল্লেখ্য এদিন পথে নেমেছ বাম-কংগ্রেসও।”মমতা জানাচ্ছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের প্রতিবাদ চলবে।

Loading

Leave a Reply