ফিচার

ভারতীয় চিত্রকর সৌমিতা সাহার ছবি পাড়ি দিল আমেরিকার পোর্টল্যান্ডের আর্ট গ্যালারিতে

প্যান্ডেমিকের প্রকোপে সমগ্ৰ বিশ্ব জীবন সংগ্রাম ও শিল্প কে বাঁচাবে বলে নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। লকডাউনে মানুষ তখন গৃহবন্দি তখন সোসাল নেটওয়ার্ক হয়ে ওঠে মানুষের এক সুত্রে বাঁধা থাকার মাধ্যম। সচেতনতা থেকে বিনোদন সবটাই মানুষ খুঁজে পায় সোসাল নেটওয়ার্কে। তখন খুব সাধারণ ভাবেই জনপ্রিয় হয় হ্যাশট্যাগ্ #Goviraltostopthevirus বিপ্লবের। এই শিল্প বিপ্লব শুরু হয় কপি রাইটার ও স্বনাম ধন্য মিডিয়া প্রোফেশনাল উত্তরণ চৌধুরীর হাত ধরে। এই শিল্প বিপ্লবের অন্তর্ভুক্ত হন দেশ বিদেশের বহু সেলেবৃটি। অবশেষে আয়োজিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পীর কাজ নিয়ে প্রর্দশনী। কুরেসি করে ডঃ শেল্ডন হার্সট্। এমন মনোহর প্রর্দশনীতে ঠাঁই পায় ভারতীয় চিত্রকর সৌমিতা সাহার আঁকা ” Conscience of India ” নামক একটি ছবি।

সৌমিতা সাহা একজন সফল চিত্রকর হওয়ার পাশাপাশি একজন অসামান্যা সঙ্গীত শিল্পী, তিনি স্থাপত্য বিদ্যায় রেকর্ড মার্কস্ নিয়ে স্নাতক।সৌমিতা ২০১৭ সালে ইডিএম মিউজিকের জগতে আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য লাভ করে ভারতীয় সঙ্গীত জগতের নাম উজ্জ্বল করেন। নভেম্বর মাসে পোর্ট ল্যান্ডের আর্ট মিউজিয়াম অন্তর্ভুক্ত আর্টরীচ আর্ট গ্যালারিতে প্রর্দশিত হল ভারতের মেয়ে সৌমিতার আঁকা ছবি। বহুমুখী প্রতিভার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৌমিতা সাহা, সাউথ কোলকাতার সৌমিতার আঁকা ছবি ইতি মধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন আর্ট গ্যালারিতে প্রর্দশিত হয়েছে। এছাড়াও প্রর্দশিত হয়েছে দিল্লি, মুম্বাই, আমেদাবাদ ও দেশের বিভিন্ন শহরে। সুন্দরী গায়িকার চিত্রকলা শিল্প অনুরাগী তথা কৃটিকদের নজর কেড়েছে দারুণ ভাবে।

ছবির বিদেশ পাড়ি দেওয়ায় বিরল অভিঞ্জতা ব্যাক্ত করে শিল্পী জানান ” #Goviraltostoptgevirus একটি global art movement এই শিল্প বিপ্লবের  অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারাটা পৃভিলেজ, উত্তরণ দা ও শেল্ডন সার জে আমার কাজ কে এই প্ল্যাটফর্মের উপযুক্ত মনে করেছেন এটা আমার কাছে অনেক বড় বিষয়।” সৌমিতা একজন স্বনামধন্যা উজ্জ্বল ব্যাক্তিত্ব এছাড়াও সৌমিতার আরও একটি পরিচয় রয়েছে, তিনি সঙ্গীতজ্ঞ স্বপন সাহা ও গীতিকার/কৃটিক মধুমিতা সাহার একমাত্র সন্তান। ছোট থেকে শিল্প কলার চর্চা মধ্যে বড় হয়ে ওঠেন সৌমিতা। সৌমিতা আরও জানান ” আমি যৌথ পরিবারের নামে প্রহসনের মত বিরাজমান একটি পরিবেশে বড় হয়েছি, ভগোবান তো নিজে আসেন না, তাই মা বাবা কে পাঠান আমাদের আগলে রাখতে। ছেলেবেলা থেকে টাকা আনা পাই এর মেটারিয়ালিজ্মকে একটুও আমায় ছুঁতে দেননি আমার বাবা মা, প্রাচূর্য না থাকলেও কোনো বিলাসীতা পাইনি এটা বলতে পারবনা, বাবা মা হাজারো টক্সিসিটি কে তুচ্ছ করে যেভাবে শিল্পে মননশীল তা দেখে আমি অনেক কিছু শিখেছি। ” 

Loading

Leave a Reply