এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব কাঁপাচ্ছে করোনার প্রকোপে।এই করোনার আঁতুড়ঘর বলা হচ্ছে চীনকে। চীনের উহানে সর্বপ্রথম করোনা পাওয়া গিয়েছিল। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো প্রথম থেকেই তা অত্যন্ত সচেতনভাবে গোপন করে আসে চীন।যখন পরিস্থিতি একপ্রকার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখনই বাইরের মানুষ জানতে পারে করোনা ভাইরাসের কথা। পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। চীন প্রথম থেকেই বলে এসেছে করোনা ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে কোনভাবেই ছড়ায় না। এ ভাইরাস পশুপাখির দেহ থেকে মানুষের শরীরে এসেছে। কিন্তু যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল চীনে প্রবেশ করে তখনই জানতে পারে করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় বলে।
যদিও বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনাই কাঁপছে অথচ চীন নিজেদের সামলে নিয়েছে। এর ফলে একাধিক বিতর্ক সামনে আসছে। প্রশ্ন উঠছে চীনের উহানে ভয়ঙ্করভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল অথচ বেজিং সহ চীনের অন্যান্য প্রদেশে এই ভাইরাস থেকে নিজেদের কিভাবে সুরক্ষিত রাখলো? পাশাপাশি আরও প্রশ্ন উঠছে যখন সারা বিশ্ব নিজেদের বাঁচাতে মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে তখন চিন্তা দেশে লকডাউন তো তুলে নিয়েছেই, উপরন্ত যে বাজার থেকে প্রথম ভাইরাস ছড়িয়ে ছিল বলে শোনা যাচ্ছে সেই মাংসের বাজার খুলে দিয়েছে। উল্টোদিকে এখন আমেরিকা, ইতালি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসার সরঞ্জাম রপ্তানি করছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন তাহলে কি বিশ্ব বাজার ধরতে চীনের এই তথ্য গোপন করার প্রয়াস?
বিশ্বের নানান দেশ ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে কাঠগড়ায় তুলেছেন চীনকে পাশাপাশি জাপান ইতিমধ্যেই চীনের সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন। তারা বলছেন হু এর মুখপাত্র চীনের দালালি করছে। কিছু নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। সব মিলিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কে কাঠগড়ায় তুলে দিয়ে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যপরিসেবা কে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পক্ষপাতী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে এলে চীনের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হতে পারে।