করোনার এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে গুজরাতের দ্বারকায় প্রায় দেড় মাস হোটেল বন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রায় ৮০ জন বাঙালি পুণ্যার্থী। তাঁদের মধ্যে দুর্গাপুর মহকুমার ৩০জন পুণ্যার্থী রয়েছেন। এই অবস্থায় বাড়ি ফিরতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে আবেদন করেছেন তাঁরা। সকলেই ভিডিও বার্তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ই-মেলের মাধ্যমে বাড়ি ফেরার আর্জি জানিয়েছেন। যদিও এখনও কোনও সুরাহা না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন ওই পুণ্যার্থীদের বাড়ির লোকজন। এদিকে দেশের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের নিরিখে এই মুহূর্তে গুজরাত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাই আরও চিন্তা বেড়েছে ওই আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের পরিবারের লোকজনের।
ফোনে ওই পুণ্যার্থীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের কয়েকদিন আগেই গুজরাতের দেব ভূমি দ্বারকা জেলায় ভ্রমণের জন্য পৌঁছন রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সহ আশেপাশের জেলার প্রায় ৮০ জন পুণ্যার্থী। সেখানে পৌঁছতেই ঘোষণা করা হয় জনতা কার্ফু। তার পরের দিনই লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় দ্বারকা মন্দিরের দরজা। অধিকাংশ দর্শনার্থী মন্দির দর্শন না করেই হোটেল বন্দি হয়ে পড়েন। কোনও কোনও পুণ্যার্থীর ক্ষেত্রে আবার দর্শন সেরে ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনে সমস্ত রকম যানবাহন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন সকল পুণ্যার্থীরা। কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকল পুণ্যার্থী পরিবার ছেড়ে লকডাউনে কার্যত হোটেল বন্দি হয়ে রয়েছেন।
এখন সরকারের উদ্যোগে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পড়ুয়া সহ শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করছে। তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ও চিফ সেক্রেটারির কাছে ইমেল মারফত বাড়ি ফেরার আবেদন পাঠিয়েছেন। দ্রুত বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক এটাই চাইছেন তাঁরা।
1800 total views , 1 views today