স্কুল খোলার জন্য নয়া গাইডলাইন জারি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খুলে ক্লাস শুরু হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এই চারটি ক্লাস ৷ মার্চের থেকে করোনা ভাইরাসের জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ৷ MHA এক নির্দেশিকা জারি করল যাতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরস (SOPs) রয়েছে৷ যেখানে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ নিজেদের পাঠ্যক্রম থেকে যাতে পড়ুয়ারা পিছিয়ে না পড়ে আবার সুরক্ষাও যাতে বজায় থাকে তার জন্য সমস্ত দিকেই নজর রাখা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।
বায়োমেট্রিক্স উপস্থিতি রেজিস্ট্রেশন নেওয়া যাবে না। অপরদিকে স্কুলগুলিতে যাতে অন্যভাবে উপস্থিতি নেওয়া হয় তার জন্যেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে৷
যেভাবে হোক প্রত্যেক পড়ুয়ার মধ্যে অন্তত ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ একইরকম ভাবে স্টাফরুমেও সোশ্যাল ডিসটেন্সিং অতি অবশ্যই বজায় রাখতে হবে৷ সামাজিক দূরত্বে জোর দিতে হবে, অফিস, লাইব্রেরিত, ক্যাফেটেরিয়ায়৷ নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ি অ্যাসেমব্লি , স্পোর্টস ও ইভেন্টে যেহেতু এক জায়গায় অনেকের জমায়েত হওয়ার সম্ভবনা থাকে তাই এই মুহূ্র্তে সেগুলি কড়াভাবে নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে৷ পড়ুয়াদের প্রত্যেককে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে৷ পাশাপাশি নিয়মিত ব্যবধানে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং হাত স্যানিটাইজ করতে হবে ৷ একই নিয়ম কার্যকর হবে স্কুলের শিক্ষক ও স্টাফদের ক্ষেত্রেও। কন্টাইমেন্ট জোন নেই এমন স্থানের স্কুলগুলি খোলারই শুধুমাত্র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যে পড়ুয়া, স্টাফ ও শিক্ষকরা কনটেইমেন্ট জোনের বাসিন্দা তাঁরা কেউ স্কুলে আসতে পারবেন না৷ এমনকি কনটেইমেন্ট জোনে স্কুলের শিক্ষক, স্টাফ এবং ছাত্র ছাত্রী কেউ কখনও যেন না যান তাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে৷ স্কুলের মধ্যে সুইমিং পুল থাকলে কোনওভাবেই তা খোলা যাবে না।
নির্দেশিকা মেনে স্কুলের জিম খোলা যেতে পারে৷ এক্ষেত্রেও নিয়মিত জিমের সমস্ত জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যে স্কুল যে রাজ্যের অধীনে, সেই স্কুলকে সেখানের রাজ্য সরকারি হেল্প লাইন নম্বর, স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক অফিসের নম্বর দিতে হবে ৷ যদি হঠাৎ কোনও বিপদ ঘটে তাহলে তৎপরতার সঙ্গে সেই নম্বর গুলি যাতে তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন৷যে সব স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য লকারের সুবিধা আছে সেখানে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে তা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে৷ পাশাপাশি সমস্ত জায়গাকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার কাজও করতে হবে৷ যেন কোনোভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।