২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে শ্রীনগর পুলিশ বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল। বেশ কিছুদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহারের জয়েশের জঙ্গি সংগঠনের বেশ কয়েকজন জঙ্গি উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়েছে। এরপর প্রযুক্তিগত ও গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি করে পাঁচজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত ৫ জঙ্গির নাম আইজাজ আহমেদ শেখ, উমর হামিদ শেখ, ইমতিয়াজ আহমেদ চিকলা, শাহিল ফারুক গজরি এবং নাসির আহমেদ মীর। গ্রেপ্তার হওয়া আইজাজ ও উমর পাকিস্তানের জয়েশ জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। জেরায় হাব্বাক ক্রসিং এবং কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ গেটের সামনে বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা।
এই দুজনকে প্রথমে আটক করার পর বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর একটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সামনেই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগেই উপত্যকায় বড় কোনও আত্মঘাতী হামলার ছক করছিল ধৃতরা। পুলিশের অনুমান ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল এলাকা। এলাকাকে অশান্ত করার জন্যই এই হামলার ছক করছিল। তবে কোথায় নাশকতার ছক করা হচ্ছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। জঙ্গিদের গোপন ডেরা থেকে বিস্ফোরক তৈরির বিপুল সরঞ্জাম, অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র, ওয়াকিটকি, বোম্বার জ্যাকেট, জিলেটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বড়সড় নাশকতার জন্য এগুলি আনা হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। এর ফলে সীমান্তে দুশ্চিন্তা অনেকটাই বেড়েছে। তবে আর কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী উপত্যকায় প্রবেশ করেছে কিনা তা জানার জন্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।