ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন। ত্রিকোণ প্রেমে আত্মহত্যার চেষ্টা। এই ধরনের শিরোনাম বারবার সংবাদপত্র বা সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রিকোণ প্রেমের বলি হতে হয় অনেক তরতাজা প্রাণকে। তবে এই ত্রিকোণ প্রেমের সংজ্ঞাটাই যেন বদলে গেল ছত্রিশগড়ে মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার জেলায়। ঠিক যেন সুখী দাম্পত্যের রুপোলি ফ্রেমের গল্প। যা যে কোনও চিত্রনাট্যেকেও হার মানাবে। তুই ত্রিকোণ প্রেমে বলি নয়, শুধু জয় করা যায় প্রেমকেও, তেমনি উদাহরণ হলে হয়ে রইলেন বাসিন্দা চাদু মৌর্য। একই ছাতনা তলাতে তাঁর দুই প্রেমিকাকে একসাথে বিয়ে করলেন চাঁদু। চারহাত নয়, এক হয়ে গেল ছয় হাত। আর এই মিলনের সাক্ষী রইল উপস্থিত সকলে। এই মধুর দৃশ্য অবশ্য ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয় নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপাচ্ছে এই ব্যতিক্রমী ছবি। জানা গেছে ৫ জানুয়ারি এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয় ৫০০ আমন্ত্রিত অতিথির মাঝে। বছর তিনেক আগে শুরু হয় এই প্রেম কাহিনী। প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান চাঁদু প্রেমে পড়েন উপজাতি পরিবারের তরুণী সুন্দরী কাশ্যপের। চাঁদু সুন্দরীর গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে গিয়ে এই প্রেম পর্ব শুরু হয়। তবে বছরখানেক আগে গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসিনা বাঘেল নামে আরেক তরুণীর সঙ্গে প্রেম শুরু হয় চাঁদুর। পরে দুই প্রেমিকার কাছে এই সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন চাঁদু। সব জানার পরেও দুই প্রেমিকাই তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হন। অবশেষে সম্পন্ন হয় শুভ কাজ। দুই প্রেমিকাই জানিয়েছেন সারা জীবন এভাবেই তাঁরা চাঁদুর পাশে থাকতে চান। এভাবেই হয় ত্রিকোণ প্রেমের হ্যাপি এন্ডিং।