রাজ্য

সিপাহী বিদ্রোহ ঠেকাতে দুর্যোগ উপেক্ষা করে ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে একদল পুলিশ কর্মী গতকাল রাতে হঠাৎ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রীতিমত অবস্থান শুরু করে দেয়। আচ্ছা এটা কি সিপাহী বিদ্রোহ? কেন হঠাৎ করে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল? আমফান নাকি করোনা? দুটোই। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা হলো এইখানে কর্মরত এক পুলিশ অফিসার করোনা পজেটিভ হয়েছিলেন। তারপর আমফান মোকাবিলা করার জন্য একদল পুলিশ কর্মীকে এই ব্যারাকে রাখা হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। তাদের বক্তব্য যেহেতু এখান থেকে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে তাই পুরো এলাকাটা জীবাণুমুক্ত করে তাদের থাকার জায়গা করা উচিত ছিল। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। পাশাপাশি আরও অভিযোগ তারা উপযুক্ত পরিমাণ মাস্ক বা স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। মারাত্মক কঠিন পরিস্থিতিতে পুলিশ ফ্রন্ট লাইনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে। রোগীদের স্থানান্তরের ক্ষেত্রে, সৎকারের ক্ষেত্রে, আবার রাস্তাঘাটে মানুষকে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনটেন করাতে, কখনও পুলিশ গান গাইছেন, পুলিশ লাঠি হাতে দৌড়াচ্ছেন, আবার কখনো কখনো পুলিশকর্মীর সাফাই কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

অথচ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। তাদের সব সময় উপযুক্ত স্যানিটাইজার নেই। সব মিলিয়ে তাদের প্রটেকশন নেই। অভিযোগ উঠেছেপুলিশের এক বড়কর্তকেও নাকি বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নাকি চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যদিকে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সিপাহী বিদ্রোহ।!আর মুখ্যমন্ত্রীকে চুপ থাকতে পারেন। আজ এই ভয়ঙ্কর দুর্যোগ মাথায় নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে। পুলিশ কর্মীদের মনোবল বাড়ানো,আর রাগকে প্রশমিত করা মূল লক্ষ্য। সঙ্গে ছিলেন অনুজ শর্মা। বেশ কিছুক্ষণ তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সাথে কথা বলেন।

তারপর তিনি সেখান থেকে ফিরে যান। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিটের পর ক্ষোভ প্রশমিত হলো নাকি যেভাবে একের পর এক পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন তাতে করে আরো জমাট বাঁধল? রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যের নার্সদের চাকরি ছেড়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে গেছেন। এই অবস্থায় যদি পুলিশকর্মীদের মধ্যেও বিদ্রোহ শুরু হয় তাহলে কিন্তু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর নিজে উপস্থিত হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় কিনা।

Loading

Leave a Reply