কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে চন্দননগরে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চন্দননগরের ২টি রেশন দোকানসহ, উর্দিবাজার সংলগ্ন ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড। করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের তরফে জাতীয় বিপর্যয় আইন অনুসারে চন্দননগর পুরনিগমের ১১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার কড়ানির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, উর্দিবাজার এলাকার ৩ জনের করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়। তার পরেই ধাপে ধাপে ওই এলাকার প্রায় ৮০ জনকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করে এবার ৮ পরিবারের বেশ কয়েকজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পরেই জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওই এলাকার একই জায়গায় ৮ পরিবারের বেশ কয়েকজনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংলগ্ন এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত ১১ ও ১২ ওয়ার্ড দুটিকে সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ দিন এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ওই ২ ওয়ার্ডের অন্তর্গত লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারসহ সংলগ্ন এলাকাতেও এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। সবজি থেকে শুরু করে মুদিখানা, মাছ, মাংস, ফলমূলের দোকানও বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ঘোষিত এই সময়কালের মধ্যে গলির ভেতরে থাকা স্থায়ী, অস্থায়ী সকল দোকানকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। অন্যথায় প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। একইসঙ্গে নাগরিকদের সাহায্যার্থে বাজার ব্যবসায়ী সমিতিগুলিকে ওই ২ ওয়ার্ডের পাড়া, মহল্লা, গলির ভেতরে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া অর্থাৎ হোম ডেলিভারি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই মর্মে মাইকিং করে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে সহযোগিতার আবেদন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে চন্দনগরে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন