জেলা

ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় অভিযোগ।

সম্পর্কমাত্র ৫ দিনের। ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলার সাথে কথাবার্তা চলছিল আরামবাগের সামতা এলাকার কাজী নাসিরউদ্দিন নামে এক বিবাহিত যুবকের। ইনস্টাগ্রাম থেকে হোয়াটসঅ্যাপ প্রায় প্রতিদিনই ভিন দেশের মহিলার সাথে কথা বলত নাসিরউদ্দিন। মহিলা তাদের দাম্পত্য জীবনের সুখ-দুঃখের কথা নাসিরের সাথে শেয়ার করতে শুরু করে মেসেজের মাধ্যমে। ওই মহিলা নাসির উদ্দিনকে জানায় তার স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গেছে। তাদের বাড়ি ভারতে। কর্মসূত্রে তারা অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

তার স্বামী যখন বেঁচে ছিল তখন সে ভারতীয়দের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করত। তিনিও চান তার স্বামীর সেই সদিচ্ছাকে নাসিরের মাধ্যমে ভারতবাসীর মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার। সেই মোতাবেক ওই মহিলার সাথে নাসিরুদ্দিনের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল হয়। যত দিন গড়াতে থাকে নাসিরউদ্দিন তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। কয়েকদিন আগে ওই মহিলা নাসিরউদ্দিনকে বলে সে একটি উপহারের প্যাকেট পাঠাচ্ছে, সেটি যেন সে সংগ্রহ করে। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করে দেয় নাসিরুদ্দিন। হঠাৎ করে দিন দুয়েক আগে নাসিরউদ্দিনকে দিল্লি থেকে ফোন করে বলা হয় তার একটি পার্সেল এসেছে রিসিভ করতে হবে। তার জন্য ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হবে তাকে। আর এতেই সন্দেহ নতুন করে দানা বাঁধতে শুরু করে নাসিরুদ্দিনের মনে। প্রথম ওই টাকা দিতে অস্বীকার করে।

নাসিরুদ্দিন জানিয়েছে, সে বাইরের রাজ্যে সোনার কাজ করত। লকডাউনের দরুন সে বাড়ি ফিরেছে সে। বিবাহিত ওই মহিলার কথাবার্তা দেখে তার সন্দেহ হয়। কয়েকদিন আগে ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে তিনিও মহিলার সাথে কথা বলেছেন। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে তার মনে। আর পার্সেল নেওয়ার আগে এত টাকা দিতে ভেবে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার। শেষে ওই মহিলার সাথে ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ করতে চাইলে আর কোনও উত্তর মেলেনি। পরে নাসিরুদ্দিন বুঝতে পারে সে প্রতারিত হয়েছে। তিনি যদি এই টাকা দিয়ে পারসেল নিতেন তাহলে সম্পূর্ণভাবে তিনি প্রতারিত হতেন। ওই মহিলার সাথে তার এতই ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সে সব সবসময় ইংরাজি বলতে পারত না। ট্রান্সলেটর ব্যবহার করেই সে ওই মহিলার সাথে কথা বলত। কিন্তু তারপরেও সে এভাবে প্রতারিত হবে ভাবতেই পারেন নি। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে তিনি কী করবেন আর বুঝে উঠতে পারছেন। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরামবাগে।

Loading

Leave a Reply