পুলিশ কথাটি শুনলেই অনেকের ভিতরটা চমকে ওঠে। অনেকে আবার পুলিশকে বিভিন্নভাবে দেখেন। আর করোনা লড়াইয়ে সামনে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ। সাধারণ মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা। সবসামলে এবার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান করলেন পুলিশ। আর পুলিশের এই সিদ্ধান্তে খুশি সাধারণ মানুষ। ঘটনটি বীরভূমের। বীরভূম জেলার পুলিশ কর্মীরা এপ্রিল মাসের ২ দিনের বেতন মোট ২১ লক্ষ টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন এই ত্রাণের অর্থে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন চলাকালীন জনগণের স্বার্থে কাজের ফাঁকে রক্তদানও করেছেন বীরভূমের অসংখ্য পুলিশকর্মী। এবার বীরভূম জেলা পুলিশের প্রত্যেক সদস্য স্বেচ্ছায় তাঁদের এপ্রিল মাসের দুদিনের বেতন দিয়ে মোট ২১ লক্ষ টাকা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছেন। বীরভূম জেলা পুলিশ নিজেদের সামাজিক, আইনি, মানবিক আর প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্মীরা । তাঁরা জানিয়েছেন, এই সময় বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার পুলিশকর্মী সহনাগরিকদের জন্য একযোগে সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও এন.জি.ও-র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে।
কয়েকদিন আগেই পুলিশ লাভপুরে একজন প্রৌঢ়ার জন্মদিন পালন করেছে, সেই পুলিশই আরও কয়েকশ’ বৃদ্ধ মানুষের বাড়িতে সময়ে সময়ে পৌঁছে দিয়েছে তাঁদের দরকারি ওষুধ, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ইত্যাদি। দরকারে নিজেদের গাড়িকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে দিতেও পিছপা হয়নি। বীরভূম জেলা পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বরিষ্ঠ নাগরিক, শিশু, সন্তানসম্ভবা মা, খেলোয়াড়, শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আদবেদন করেছেন, নিরাপত্তাজনিত বিধিনিষেধ চলাকালীন সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে। যদি কেউ এই সংক্রান্ত বিধি নিষেধ অমান্য করছে বলে মনে হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ স্পেশ্যাল কন্ট্রোল রুম নম্বরে জানাতে। বীরভূম জেলা পুলিশ ইতিমধ্যেই বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি আইন মোতাবেক ৮৮ টি মামলা রুজু করেছে এবং ৩৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। সবমিলিয়ে পুলিশের এই ভূমিকায় খুশির জোয়ার জেলাজুড়ে।