স্বাধীনতা আন্দোলনে সংবাদপত্রের ভূমিকা জানতে গবেষকদের এখনো জাতীয় গ্রন্থাগারে ছুটতে হয়। সেই সময়কার আন্দোলন সংগঠিত করতে সংবাদপত্র কতটা ভূমিকা নিয়েছিল তা জানতে যথেষ্ট ঝক্কি পোহাতে হয় সকলকেই। কিন্তু এবার জাতীয় ডিজিটাল গ্রন্থাগার এর মাধ্যমে কম্পিউটার বা মোবাইলে বিনামূল্যে দেখতে পাওয়া যাবে সেই সময়কার কিছু সংবাদপত্রের পাতা। আপাতত অমৃতবাজার ও যুগান্তর যুগান্তর পত্রিকা তাতে মিলবে।
তবে এই দুটি সংবাদপত্র নয়, এবার ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অব ইন্ডিয়ায় সংযুক্ত হচ্ছে প্রেসিডেন্সি কলেজের নানা দুষ্প্রাপ্য তথ্য। ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অফ ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন থেকে ছাত্রদের নামের তালিকা, নানা ঐতিহাসিক রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনীদের কাছে। যা তারা সরাসরি এই জাতীয় ডিজিটাল গ্রন্থাগারের সংযুক্ত করতে সম্মত হয়েছেন। গবেষকরা ইচ্ছে করলেই কম্পিউটার বা মোবাইলে দেখে নিতে পারবেন সেই সব তথ্য। এককথায় ন্যাশনাল নলেজ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে এই ডিজিটাল গ্রন্থাগার।
প্রসঙ্গত ১৮৭৮ সালে ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট এর ফাঁড়া থেকে বাঁচতে অমৃতবাজার পত্রিকা রাতারাতি বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করা শুরু হয়। যা ছিল এক নজিরবিহীন ঘটনা। ঐতিহাসিক দলিল অর্থাৎ সেই সময়ের সংবাদপত্র সংরক্ষণের ডিজিটালাইজেশনের সুযোগ ছিল না। পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয় বাংলা দৈনিক যুগান্তর। গত শতাব্দীর ৯ এর দশকে প্রাচীন সংবাদপত্র দুটি বন্ধ হয়ে যায়। এবার সেই সব পত্রিকার বিভিন্ন পাতা দেখতে পারবেন ইচ্ছে করলেই।