দেশ

কন্ডোম বিলি কোনোভাবেই ভাবেই যেন বন্ধ না হয়, নির্দেশ কেন্দ্রের।

সারাবিশ্ব এই মুহূর্তে করোনা আদমকে কাঁপছে প্রতিদিন হাজারে হাজারে মানুষ মারা যাচ্ছে আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষাধিক করে মানুষ এই মৃত্যু মিছিলে ভারত বর্ষ ক্রমশ সংখ্যার দিক থেকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে যখন প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই মুহূর্তে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিরোধ করা দেশের মানুষকে জীবন দেয়া ঠিক সেই সময়ই যাতে কোনো মতেই কন্ডোম/কন্ট্রাসেপ্টিভ বিলি বন্ধ না হয়,এমন নিদান দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা মোকাবিলার পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে একটি গাইডলাইন জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় অবশ্যই সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। তবে স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্য কোনও দিক যাতে তিলমাত্র অবহেলিত না হয়, সে দিকেও সতর্ক নজর রাখতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই পরিবার পরিকল্পনার মতো জরুরি বিষয়টি যাতে নজরের বাইরে না যায়, তা মনে করানো হয়েছে।



তবে কেন্দ্রীয় এই গাইডলাইন নিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার বরিষ্ঠ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায় খানিক বিরক্তই। স্পষ্টবক্তা সুব্রতর মতে, ‘পরিবার পরিকল্পনা তথা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় কন্ডোম বা কন্ট্রাসেপ্টিভ বণ্টন জরুরি বিষয়। এটা খারাপ বলব না। কিন্তু এই মুহূর্তে এটা গৌণ। যে পরিস্থিতি চলছে তা হল বাঁচার লড়াই। সেই লড়াইয়ে মানুষকে জিততেই হবে। ফলে মানুষকে যাতে বাঁচানো যায়, সে দিকে কেন্দ্র বরং একটু বেশি নজর দিলে ভালো হয়।


দিল্লির নির্দেশ, কন্ডোম তো বটেই, মালা, ছায়ার মত ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভ বা ইঞ্জেক্টেবল অন্তরার বিলিবণ্টন যেন যথাবিহিত চলে। এ ক্ষেত্রে আশাকর্মীদের তাঁদের দায়িত্ব যথাবিহিত পালন করে যেতে হবে। সাধারণভাবে প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ও সাব হেলথ সেন্টারগুলি জন্মনিরোধক নানা উপকরণ মানুষের হাতে তুলে দেয়। আবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলিও এই দায়িত্ব পালন করে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর তৃণমূল স্তরে এই প্রতিষ্ঠানগুলি এই কাজ করে যাবে বলেই কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে বলা হয়েছে।


তবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যে রুটিন নানা কাজ সামলাতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সংশ্লিষ্ট মানব সম্পদের উপর প্রভূত চাপ পড়বে, তা-ও মেনে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের গাইডলাইনে। তবে বহু মানুষ এমনটাও বলছেন করোনা নিয়ে নিশ্চিত সারাদেশের নজর রয়েছে, কিন্তু করেনা কে অতিরিক্ত ফোকাশ করতে গিয়ে যাতে অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক সমস্যা তৈরি না হয় সে দিকটা দেখাটাও অত্যন্ত জরুরী। এই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্র সরকার যেভাবে স্বাস্থ্যের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো মাথায় রেখেছেন তার প্রশংসা না করে উপায় নেই।



Loading

Leave a Reply