জেলা

কুটির বর্ধমান নামে জেলার শিল্পসামগ্রীর নিজস্ব নিজস্ব ব্র্যান্ড চালুর উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের

সমুদ্রগড়ে এর তাঁতের শাড়ি থেকে মঙ্গলকোটের শোলাশিল্প। খণ্ডঘোষ এর ফেজ থেকে রায়না জরির কাপড়। আউশগ্রামের দ্বরিয়াপুরের ডোকরা শিল্প। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকে নানান হস্তশিল্প রয়েছে। এমনকী ছানা, ঘি মশলা তৈরি হয়। হস্তশিল্পের কাজ সারা বাংলা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেয় এইসব শিল্পসামগ্রীও। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বর্ধমানের এই হস্তশিল্পের কোনও নিজস্ব ব্র্যান্ড নেই। তাই জেলার সমস্ত শিল্প সামগ্রীর ব্যবসা বাড়াতে কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ড চালু করছে জেলা প্রশাসন। এবার থেকে সমস্ত শিল্প সামগ্রী বিক্রি করার জন্য তৈরি হবে একটি বহুতল শোরুম। অর্থাৎ শহরে একই ছাদের নীচে সমস্ত রকম জিনিস। প্রসঙ্গত, বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা একটি বড় শিল্প।

ইতিমধ্যেই এর জিআই স্বীকৃতি মিলেছে। পাশাপাশি নতুন গ্রামের কাঠের পুতুল ও শক্তিগড়ের ল্যাংচার জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলার বিভিন্ন শিল্পসামগ্রীর একটি পরিচিত ব্র্যান্ড চালু হলে পরিচিতি বাড়বে। ব্যবসার উন্নতি হবে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরাও উপকৃত হবেন। প্রশাসনের দাবি, অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীও বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। শিল্পের কাজে তাদের সহায়তা করার জন্য নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেমন হাব তৈরি করে দেওয়া, কাঁচামাল কেনার ব্যবস্থা, কাঁচামাল রাখার গোডাউন, শিল্পীদের সামাজিক সুরক্ষার অধীনে নিয়ে আসা, ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা, ট্রেডমার্ক পাওয়ার জন্য কর্মশালা প্রভৃতি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বর্তমানে কুটির বর্তমান ব্র্যান্ড চালু হলে তা প্রচার করা হবে। ফলে ব্যবসার উন্নতির সঙ্গে বর্ধমানের সুনামও ছড়িয়ে পড়বে।

Loading

Leave a Reply