ছোট ইলিশের উপর বিধিনিষিধের জেরে এবারে বর্ষার আগেই মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই বাজারে উপস্থিত গঙ্গার বড় ইলিশ। শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠলেও হুগলির চকবাজারের মৎস্য ব্যাবসায়ীরা কিন্তু এই কথাই বলছেন। শুধু বলছেনই না গঙ্গার সেইসমস্ত টাটকা ইলিশ এখন তুলনামূলক কম দামে তাঁরা বিক্রিও করছেন। ক্রেতাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কারন এই সময় ৮০০ গ্রাম থেকে ১কেজির চালানি ইলিশ যখন ১৫০০টাকার নীচে পাওয়াই যায় না। কিন্তু একই মাপের গঙ্গার ইলিশ বাজারে বিকোচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
আর ১৪০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের গঙ্গার ইলিশ চকবাজারে বিকোচ্ছে মাত্র ১২০০ টাকায়। মার্চের শুরুতে এই একই সাইজের চালানি ইলিশের দাম কম করে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকায় মেলে। বর্ষার আগে এত কম দামে গঙ্গার রুপালি শস্য শেষ কবে মিলেছে, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। খবর পেয়ে অনেকেই বাজারে এসে ইলিশ নিয়ে যাচ্ছেন। ছেলেকে স্কুলে দিতে এসে ব্যান্ডেলের এক দম্পতি ইলিশের খবর শুনেই সটান চলে আসেন চকবাজারে। সেখানে এসে প্রায় ১১০০গ্রামের একটি মাছ ৯০০টাকা কেজি দরে কিনে নেন। সুদীপ্তা দে বলেন এইসময়ে এত কম দামে প্রমাণ সাইজের ইলিশ মিলবে, তাও আবার গঙ্গার সেটা ভাবতেই পারা যায় না। তাই দেখা মাত্রই কিনে নেন বলে জানান তাঁরা।
এবিষয়ে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, এবারে মোটামুটি সাত দিন কাজ করলে, একদিন অন্তত বাড়িতে প্রমাণ সাইজের ইলিশ নিয়ে যেতে পারবেন নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবার। অন্যদিকে আর এক মাছ ব্যাবসায়ী বলেন, রাজ্য সরকার ছোট ইলিশ নিয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করাতেই হুগলি নদীতে বড় ইলিশ মিলছে। অন্যদিকে এবিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অসিমা পাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব পদক্ষেপ নেন সেটা জনগণের জন্যই। সরকার ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ করতেই বড় ইলিশ মিলছে। যাই হোক দিনকয়েক ধরে চকবাজারে আসা বাঙালিরা আপাতত গঙ্গার ইলিশ ভাপায় মজেছেন বলা যায়।