গতকালই কেন্দ্র সরকার ৩১শে মে পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু ছাড় সহ জানান যখন তখন ইচ্ছামত কারফিউ জারি নয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিলেন প্রতিদিন সন্ধে সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত 144 ধারা জারি থাকবে।অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোনো যাবে না। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের ঘোষনাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না তিনি জানান কেন্দ্র সরকার শ্রমিকদের থেকে টাকা নিচ্ছে। একটি সরকারের এতে লজ্জা পাওয়া উচিত। আর দীর্ঘদিন ধরে যারা এই রাজ্যে ক্ষমতা ভোগ করেছে তারা এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানান আগামী 15 দিনের মধ্যে রাজ্যে 235 টি ট্রেন ঢুকছে। যার সমস্ত খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার।রাজ্য ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আরও ১২০টি ট্রেন চাইবে। রাজ্যের শ্রমিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে।ভিন্ রাজ্য থেকে আড়াই থেকে তিন লক্ষ মানুষ এসেছেন।এর মধ্যে ১৬টি ট্রেন এসেছে রাজ্যে।তিনি আরো বলেন খুব এমার্জেন্সি ছাড়া কার্ফু ঘোষণা করা যায় না।
সরকারি ভাবে এ রাজ্যে কার্ফু ঘোষণা করা হচ্ছে না খেলা চলবে, তবে জমায়েত নয়।২৭ মে থেকে অটো চলবে, দু’জন করে যাত্রী থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি বাসও চালাতে অনুরোধ করেন।তিনি আরো জানান বিভিন্ন জেলার মধ্যে সরকারি বাস চলবে,সামাজিক দূরত্ব মেনে হোটেল খুলবে,জোড়-বিজোড় নীতি মেনে খুলবে হকার্স মার্কেট। সব মিলিয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠকে নতুন করে একগুচ্ছ ছারের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন সময় তিনি ঘোষণা করলেন যখন রাজ্যে হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনিতেই লকডাউন চললেও রাস্তাঘাটে লকডাউন এর ছিটেফোঁটাও নেই। মানুষ আগের মতই প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তার সঙ্গে প্রায় সব কিছুতেই ছাড় দিয়ে দেওয়াই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।