দেশ

চলে গেলেন পিকে, শোকস্তব্ধ সব মহলই

চলে গেলেন কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। এই প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার জীবনে বহু লড়াই করেছেন। কখনও ফুটবলার হিসেবে। কখনও কোচ হিসেবে। বেশিরভাগই সময় জিতেছেন। কিন্তু জীবনের শেষ লড়াইয়ে আর জিততে পারলেন না।

শেষ এক মাস বার্ধক্যজনিত কারণের জন্য মাঝে মাঝেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন ভেন্টিলেশনে। কখনও অবস্থার উন্নতি হাছিল, কখনও অবনতি। তাঁকে সারিয়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাও চালিয়ে ছিলেন চিকিৎসকদের তৈরি মেডিকেল বোর্ড। কিন্তু সোমবারের পর থেকে হাল ছেড়ে দেন তাঁরাও।তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতা ময়দানে।
ভারতের জাতীয় দলের হয়ে তিনি খেলেছেন ৮৪টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৬৫টি। তিনিই প্রথম অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত ফুটবলার। ১৯৯০ সালে পান পদ্মশ্রী। ২০০৪ সালে পান ‘ফিফা অর্ডার অফ মেরিট’ সম্মান। ১৫ বছর বয়েসেই তিনি সন্তোষ ট্রফিতে রাইট উইংয়ে খেলেছিলেন বিহারের হয়ে। ৫৪ সালে যোগ দেন কলকাতার এরিয়ানসে। সেখান থেকে পূর্বরেলে। জাতীয় স্তরে তাঁর খেলা শুরু ১৯৫৫ সালে। প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় টোকিও, জাকার্তা এবং ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে খেলেছেন ভারতের হয়ে। মেলবোর্নের অলিম্পিকেও খেলেন তিনি। রোমের অলিম্পিকে গোলও করেছিলেন। মারদেকা কাপে খেলেছেন তিনবার। ১৯৬৮ সালে অবসর নেন খেলা থেকে। এরপর শুরু কোচিং। ইস্টবেঙ্গল দিয়ে শুরু। তারপর মোহনবাগান। বাগানের ত্রিমুকুট আসে তাঁরই প্রশিক্ষণে। ১৯৭২ সালে হন জাতীয় কোচ। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় কোচ ছিলেন পি কে। ছিলেন টাটা ফুটবল আকাদেমির টেকনিকাল ডিরেকটরও। একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার তিনিই, যিনি অলিম্পিকে ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছিলেন।

Loading

Leave a Reply