জেলা

ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরে তাঁতহাট খুলতেই প্রথমদিনে দেড় লক্ষের বেচাকেনা

মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ঘোষণা করেন যে তাঁতশিল্পীদের কথা ভেবে এবার তাঁতের হাট চালু করা হবে। এরপরই বুধবার কালনার ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরে দুটি তাঁত কাপড়ের হাট চালু হয়েছে। হাট চালুর প্রথমদিনেই ভালো সাড়া মিলেছে। এদিন নিজে উপস্থিত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উৎসাহ দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তন্তুজের চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ। প্রথমদিন দেড় লক্ষের বেশি টাকার শাড়ি বেচাকেনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন হাট থেকে মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে এবার পুজোর জন্য তন্তুজ চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকে শাড়ি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এবার ১০ কোটি টাকার শাড়ি কেনা হবে। মন্ত্রী ছাড়াও এদিন হাট চালুর সময় উপস্থিত ছিলেন কালনার মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মোহান্তি, বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস, হ্যান্ডলুম আধিকারিক পলাশ পাল প্রমুখ।

কালনার ধাত্রীগ্রাম, শ্রীরামপুরের অধিকাংশ মানুষ তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে আসা এক হাজারের বেশি তাঁতশিল্পী এখানে কাজ করেন। বিপণনে আধুনিকতা আসায় ঘুরে দাঁড়ায় তন্তুজ। এর ফলে ওই এলাকার তাঁতশিল্পীরা আশার আলো দেখতে পান। কিন্তু করোনার জেরে লকডাউনে ফের অন্ধকার নেমে আসে তাঁতশিল্পীদের জীবনে। বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েন তাঁরা। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়েন সকলে। তাঁতিশিল্পীদের সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রী। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁতের হাট খোলার অনুমতি দেন। এদিন থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধাত্রীগ্রাম ও সমুদ্রগড়ের তাঁতের হাট চালু হয়।

মন্ত্রী বলেন, লকডাউনের প্রকৃত তাঁতিশিল্পীদের অভাবের সুযোগ নিয়ে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী কম দামে শাড়ি কিনেছেন। তাঁতিরাও বাধ্য হয়ে তা বিক্রি করেন। হাট চালু হওয়ায় ফের সঠিক দামে শাড়ি বিক্রির সুযোগ এসেছে। এছাড়াও তন্তুজ তাঁতিদের কাছ থেকে পুজোর আগে যে শাড়ি কেনে তার সময় এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার থেকে তার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রকৃত তাঁতিরা সরাসরি তা বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্যই গুণগত মান ঠিক থাকতে হবে। এবার ১০ কোটি টাকার শাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত হলেও প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।

Loading

Leave a Reply