জেলা

নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় চুঁচুড়ায় দোষীদের ফাঁসির নির্দেশ দিল আদালত।

নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ করে খুন এবং খুনের পর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং দুটি পা কেটে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে সোমবার ফাঁসির আদেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। সাজা প্রাপ্ত ২ আসামীর নাম গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিক। আদালতের রায়ে কিছুটা হলেও খুশি ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ১২ই ডিসেম্বর বলাগড় জিরাটের উত্তর গোপালনগরের দম্পতি ফুলচাষী চিন্ময় মন্ডল ও গৃহবধু প্রনতি মন্ডলের ১১বছরের মেয়ে অন্বেষা মন্ডল নিখোঁজ হয়। গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সাইকেল নিয়ে অন্বেষা আর ঘরে ফেরেনি। বহু খোঁজাখুঁজির এদিন রাতেই মেয়ে নিখোঁজের খবর থানায় জানান বাবা চিন্ময় মন্ডল। পরে দিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পরের দিন জিরাটে গঙ্গার পারে অন্বেষার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বলাগড় থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অন্বেষাদের পাশের গ্রাম হাটতলার দুই যুবক গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিক এবং এক কিশোর স্বরূপ মজুমদার তিনজনে মিলে সেই রাতে অন্বেষাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন করে। সে বাঁধা দেওয়ায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর অন্বেষার মোবাইল মারফত পরিজনদের কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

তারপর অন্বেষার মৃতদেহ গঙ্গার পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে মৃতদেহের সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করার পর তার দুটি পা কোদাল দিয়ে কেটে মাটিতে পুঁতে দেয়। তিনজনকেই বলাগড় থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সময় স্মরূপের বয়স কম থাকায় জুভেনাইল কোর্টে তার মামলা শুরু হয়। চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা(২য় কোর্ট) মানস রঞ্জন সান্যাল গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিককে 363, 364/A, 302, 34, 6 (posco) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করলেন। আগামী ২৭ তারিখ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়। অভিযুক্ত ২ জনকে ফাঁসির রায় দিল আদালত।

Loading

Leave a Reply