ঋদি হক, ঢাকাঃ- বাংলাদেশের যশোরে দুই চিকিৎসক, তিন নার্সসহ নতুন ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার যশোরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে। অপর দিকে উচ্চঝুঁকিতে নারায়ণগঞ্জে জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪২ জন। বর্তমান মোট আক্রান্তর সংখ্যা ৭৪২ জন। তবে নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশে এপর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে ১৫৫ এবং একদিনে ৫৪৯জন আক্রান্ত নিয়ে মোট ৬৪৬২ আক্রান্তর হয়েছে।
এর আগে সোমবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৫৮ জন। নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮ জন। পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৪ জন। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে এ পর্যন্ত ৭৪২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৪ জন আক্রান্ত হন। এছাড়া রমধ্যে সদর উপজেলায় মারা গেছেন ১০ জন ও আক্রান্ত ১৮৬ জন। বন্দর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ ও মারা গেছেন একজন। আড়াইহাজার উপজেলায় আক্রান্ত ১৬, সোনারগাঁয়ে আক্রান্ত ১৬ ও মারা গেছেন ২জন এবং রূপগঞ্জে ১০ জন আক্রান্তের মধ্যে একজনের মারা গেছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২ হাজার ৪২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬০ জনের। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়েছেন ওঠেছেন ৩০ জন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ১৮ জন, সদর উপজেলার ৮জন, রূপগঞ্জে ১ এবং আড়াইহাজারের ৩জন। নারায়ণগঞ্জে সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দুদিনে ১৫৮টি গারর্মেন্টস কারাখানা সীমিত আকারে খোলা হয়েছে। অপরদিকে যশোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রের খবর, নতুন আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মী হিসেবে যশোরে কর্মরত একজন চিকিৎসক কর্মকর্তাও রয়েছেন।
তিনি জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে বসতেন। এ ছাড়া কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক এবং চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন জ্যেষ্ঠ নার্সও আক্রান্তের নতুন তালিকায় রয়েছেন। অপর ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন চৌগাছা উপজেলায় তৈরি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক, কেশবপুর উপজেলার ৩জন ও বাঘারপাড়া উপজেলার ১জন। ২২ এপ্রিল চৌগাছা উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা এক নারী হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা উপসর্গ দেখে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার আগেই ওই নারী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রবিবার আসা প্রতিবেদনে ওই নারীর করোনা পজিটিভ আসে। এরই সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের নার্স ও অন্যদের নমুনা পরীক্ষায় হাসপাতালের তিনজন নার্সের করোনা শনাক্ত হয়।