পদত্যাগ করলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। অনেকের ধারণা, কংগ্রেসের পক্ষে সরকার ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব তা থেকেই হার এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।দুপুরে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দেওয়ার কথা বললেন।
এদিকে খবর পাওয়া গিয়েছে বিজেপির এক বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। শরদ কুমার নামে ওই বিজেপি বিধায়কের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। আলাদা করে সেহোরে আজ আলোচনায় বসেছে বিজেপি। সেখানে রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রয়েছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ অনেকেই। থেমে নেই কংগ্রেসও। গতকাল রাতেই পর পর তিনটি আলাদা মিটিং করেছে কংগ্রেসও। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। তাই আর পথ পাননি কমল নাথ। আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ করতে এককথায় বাধ্য হন তিনি । জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শিবির বদলের পরে আখেরে গেরুয়া শিবিরের লাভ হয়েছে নাকি কমলনাথ সরকারই শক্তি ধরে রাখতে পারছে, তার দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেলেই। কিন্তু কমলের পদত্যাগে আগেই স্পষ্ট হয়ে গেল, কংগ্রেসের শক্তি নেই, শক্তিশালী বিজেপি। জ্যোতিরাদিত্যই দলবদল এককথায় বিজেপিকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে।
এর আগে বিদ্রোহী বিধায়করা আস্থা ভোটে আসতে চাইলে তাঁদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে শীর্ষ আদালত। আদালতের রায়ের পরেই কিছুটা হত্যদম হয়ে পড়ে কমল নাথ সরকার। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, আমরা আগে আদালতের নির্দেশের সমস্ত প্রতিলিপি মন দিয়ে পড়ব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব কী করা হবে, কী না। এই নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়েই যা পদক্ষেপ করার করা হবে।