রাজ্য

পুরভোটের আগে বস্তিবাসীর মন জয়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আবাসন

এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে এক বছরেরও বেশি সময় হাতে রয়েছে। কিন্তু রাজ্যে শিয়রে পুরভোট। তাই সে কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটের আগে বস্তিবাসীর মন জয়ে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। মহানগরে বসবাসকারী বস্তিবাসীদের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পের শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আবাসন নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কোথাও কেএমডিএর উদ্যোগে, কোথাও আবার কলকাতা পুরসভার নিজস্ব তহবিলের অর্থে বস্তিবাসীর জন্য আবাসন তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাস্তা, ড্রেন ও শৌচাগারের মানোন্নয়ন, পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, একজন মানুষকেও যাতে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে না হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাড়ি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও আবাসন তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতার বহু মানুষ বস্তিতে থাকেন। তাঁদের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ফ্ল্যাট বানিয়ে দিচ্ছি আমরা। সরকারি সূত্রের খবর, বস্তিবাসীর মাথার ছাদ জোগাতে এই প্রকল্পে পূর্ব কলকাতার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যানেল সাউস রোডে প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আবাসন তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ৩০০টি পরিবার থাকতে পারবে। এখানে বহু গৃহহীন মানুষ রাত কাটাতে পারবেন। যে জমিতে বস্তিবাসীর আবাসন এবং নাইট শেল্টার গড়ে উঠেছে, সেটি সম্প্রতি পুরসভাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি সংঘের কাছে এই প্রকল্পের আবাসন নির্মাণ চলছে। পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন আবাসন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

এই প্রকল্পে আনুমানিক মোট বিনিয়োগ হবে ১২০ কোটি টাকা। জানা গেছে ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য 35 হাজার টাকা করে দিতে হবে বস্তির বাসিন্দাদের। আবাসন নির্মাণ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ রাস্তার নিকাশি নালা তৈরির যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। পুরভোটের আগে বাংলার বাড়ি নামের প্রকল্প হতে নতুন চমক চলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।

Loading

Leave a Reply