দেশ

প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় নিয়োগ করা হবে একজন করে মনোবিদ।

স্কুলেই ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবন গঠিত হয়ে যায়। স্কুল থেকে যদি একজন ছাত্র -ছাত্রীর চরিত্র সঠিকভাবে গড়ে না ওঠে তাহলে আগামী দিনে দেশকে তার ফল ভোগ করতে হয়। তাই একজন ছাত্র বা ছাত্রীর স্কুল জীবন সঠিকভাবে গঠন ও দেশের জন্য দশের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই কথা মাথায় রেখেই এবার স্কুল কলেজে মনোবিদ নিয়োগ করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। মূল উদ্দেশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক-মানসিক সঠিক বিকাশ। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলে পরামর্শক বা কাউন্সেলর ও মনোবিদ নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।সরকার বলছে, দ্রুতই আদালতের জারি করা রুলের জবাব তারা দেবে।বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোবিদ নিয়োগের কাজটি করার জন্য যথেষ্ঠ আর্থিক সক্ষমতা এ মূহুর্তে সরকারের নেই।

কিন্তু তা সত্ত্বেও উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলর এবং মনোবিদ নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। “ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একটি ফিজিবিলিটি ও প্রয়োজন যাচাই করে রিপোর্ট দেবার জন্য। সে রিপোর্ট পাবার পর এ নিয়ে কাজ শুরু হবে।এক্ষেত্রে সরকারের অর্থনৈতিক সামর্থও বিবেচনায় রাখা উচিত। হয়তো সব প্রতিষ্ঠানে এখনি আমরা নিয়োগ করতে পারবো না, প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে, স্কুলে আইসিটি পড়ানো শুরুর সময় দেখা গিয়েছিল পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই, আস্তে আস্তে সক্ষমতা বাড়ছে আমাদের। এখানেও সেটা হবে।”উপমন্ত্রী মি. চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ কমানো এবং স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমেই পড়াশুনার সাথে সাথে কাউন্সেলিং যাতে করা যায়, সেদিকে সরকার আরো নজর দেবে।সেজন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Loading

Leave a Reply