বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের এসি ড্রয়ার বেশ কিছুদিন খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এছাড়াও মর্গের কক্ষের এসিটিও খারাপ হয়ে গিয়েছে। এমনকী ফ্যানটিও বিকল হয়ে পড়ে আছে। এর ফলে মৃতদেহ সংরক্ষণে অসুবিধা হচ্ছে। মৃতদেহে পচন ধরে যাচ্ছে। এনিয়ে মৃতদের পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ। মৃতদেহ নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিসের সঙ্গেও মৃতদের পরিজনদের অশান্তি হচ্ছে। তা থেকে যে কোনও সময় বড় ধরনের গণ্ডগোল ঘটতে পারে। হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিস বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছে। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে পুলিসের তরফে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসি ড্রয়ার খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ কুণাল কান্তি দে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পূর্ত দপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা সন্দেহে বেশকিছু রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে। তাঁদের ‘সারি’ ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। রোগীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। লালারসের রিপোর্ট মিলতে দেরি হচ্ছে। এর মধ্যে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে দেহ হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। করোনা রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত মৃতদেহ মর্গেই থাকছে। রিপোর্ট মেলার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। যে ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই, সেক্ষেত্রে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। দিনকয়েক আগে মাধবডিহির এক নির্যাতিতা বৃদ্ধা হাসপাতালে মারা যান। তাঁর করোনা রিপোর্ট না মেলায় ময়নাতদন্ত না করে মৃতদেহ কয়েকদিন মর্গে রাখা হয়। করোনা রিপোর্ট মেলার পর বুধবার ময়নাতদন্ত হয়। আরও কয়েকটি মৃতদেহ মর্গে রয়েছে। কিন্তু এসি ড্রয়ার ও কক্ষের এসি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় গরমে মৃতদেহে পচন ধরছে। দেহ হস্তান্তরের সময় মৃতদেহ পচন ধরার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পরিবারের লোকজন। পুলিসকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।