‘ওয়ার্ক টু হোম’ এই বাক্যটির সঙ্গে এখন কম বেশী সবাই পরিচিত। এবার ‘ওয়ার্ক টু ট্রী-‘র সাক্ষী থাকলো দক্ষিণের জেলা বাঁকুড়া।
জেলার ইন্দপুরের আহন্দা গ্রামের বছর পঁয়ত্রিশের সুব্রত পতি কলকাতার একটি বেসরকারী চাকরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষকতা করেন। ‘করোনা’ সতর্কতায় ‘লকডাউনে’র কারণে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ‘অনলাইন’ শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে। আর এই অবস্থায় গ্রামের বাড়িতে এসে চরম সমস্যায় পড়েছেন এই তরুণ শিক্ষক। বাড়িতে বা গ্রামে কোন মোবাইল সংস্থার নেটওয়ার্ক মেলেনা। ফলে বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে গ্রামের এক প্রান্তে একটি নিম গাছের উঁচু ডালে মাচা বেঁধে সারাদিন সেখানে বসেই চলছে তার ‘অনলাইন’ শিক্ষাদান। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে ল্যাপটপ, মোবাইল, অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী, সামান্য খাবার ও জল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা উঠে পড়ছেন গাছে। তারপর গাছের উঁচু মগ ডালে মাচার উপর বসে চলছে শিক্ষা দান। এই ব্যবস্থায় যথেষ্ট খুশি গ্রামের মানুষও। এই কাজে কম বেশী সকলেই তাকে সাহায্যও করেছেন।
গ্রামবাসী শুভজিৎ পতি বলেন, গ্রামে নেটওয়ার্ক না থাকা যথেষ্ট দূর্ভাগ্যজনক। তাই আমরাই উদ্যোগ নিয়ে নিম গাছের উপর ওই মাচা তৈরি করে দিয়েছি।শিক্ষক সুব্রত পতির কথায়, এবিষয়ে অভিনবত্ব কিছু নেই। আমাদের এই এলাকায় প্রায়শই হাতি ঢুকে পড়ে। ফলে গাছের উপর মাচা তৈরি করে হাতি তাড়ানো অনেক পুরাণো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটাকেই কাজে লাগিয়ে তিনি শিক্ষাদান করছেন বলে জানান।