দুহাজার কুড়ি যেন বিষে বিষে বিষময় হয়ে উঠছে। চলতি বছরটা যেন, দেশবাসীর কাছে একেবারেই অনভিপ্রেত। একদিকে করোনা মহামারী, অপরদিকে প্রকৃতির ভ্রুকুটিতে থরহরি কম্পমান। করোনা মহামারীর মধ্যেই, বাংলায় আছড়ে পড়েছে আমফান। সেই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। এখনো তার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেকেই। এরই মধ্যে চলতি মাসেই আবারও বাংলার বুকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা জানাল আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বাংলাদেশের বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় “গতি”। উল্লেখ্য, এর আগে ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাব তেমনভাবে পড়েনি বাংলাদেশের উপর। কিন্তু এবার, “গতি”র জেরে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব, দুর্গোৎসব ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। তেমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ নিজের শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। গত ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন অঞ্চল এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এই নিম্নচাপ নিজের শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে। উল্লেখ্য, অক্টোবর-নভেম্বর মাসের দিকে প্রতি বছর বঙ্গোপসাগরে একাধিক নিম্নচাপের দরুন বাংলাদেশে ঝড়বৃষ্টি হয়। আর এই ঝড় বৃষ্টির পর পরই শীতের আমেজ দেখা দেয় বাংলায়।
বাংলাদেশে এই ঝড়কে ‘আশ্বিন-কার্তিকের তুফান’ বলা হয়। তবে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহেই বাংলা থেকে বিদায় নিতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এবছর বাংলায় অন্যান্য বারের তুলনায় ৩৩.১ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, অক্টোবর মাসেও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হতে চলেছে বাংলাতে।