শুরু থেকেই করোনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছেন বিজেপির নেতা নেত্রীরা। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুরে। ফের করোনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার হুগলির ধনেখালির এক জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি বললেন, ”করোনা তো চলে গিয়েছে। দিদিমনি লকডাউন করছেন যাতে আমরা কোনও মিটিং, মিছিল না করতে পারি। কিন্তু জেনে রাখুন, এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ফের রাজনৈতিক মহলে শুরু সমালোচনা।আনলক ফোরেও গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের হারে বাড়ছে উদ্বেগও। মাঝের কয়েকটা দিন এ রাজ্যে সংক্রমণ, মৃত্যু ক্ষণিক স্বস্তি দিলেও ফের করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে ‘ব্রেক দ্য চেন’ নিয়মে রাজ্যে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে চলছে সম্পূর্ণ লকডাউন। যদিও এই লকডাউন এর দিনগুলি কি হিসাব করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করছেন তা কেউই জানেন না এবং বারংবার লকডাউনের দিন বদলানো হচ্ছে।
লকডাউনের দিন বদলানো নিয়ে বিজেপি বারবার আঙ্গুল তুলেছে। আর এবার পুরোপুরি লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ যাদব। তাঁরা বরাবর এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন। তাঁদের অভিযোগ, করোনা রুখতে নয়, আসলে বিজেপিকে রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত। আগস্ট মাসের ৫ তারিখ, রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হিন্দু বিরোধী’ বলেও তোপ দেগেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
অার এরপর বৃহস্পতিবার হুগলির ধনেখালির সভায় গিয়ে সম্পূর্ণ লকডাউন নিয়ে আরও বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন দলের রাজ্য সভাপতি। মহামারীকে কার্যত বিদায়ই দিয়ে দিলেন তিনি! স্পষ্টই বললেন, ”করোনা চলে গিয়েছে।” এই মুহূর্তে রাজ্যে সপ্তাহে দু’দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের যৌক্তিকতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন তিনি। আর সেসব করতে গিয়ে ফের হাসির খোরাক হয়ে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।