দেশ

ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকেনি। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের আইনজীবীর।

রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের সময় যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা পালন করার দায়িত্ব তাদের নেওয়া উচিত। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা ক্ষমতায় এলে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি মত মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলেও ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি বিজেপি। ঠিক এই কারণেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল।ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের এক আইনজীবী এইচ কে সিংয়ের দায়ের করা মামলাটি গৃহীত হয় রাঁচির জেলা আদালতে। ওই মামলায় নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে।

আগামী ২ মার্চ মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। মামলাকারী ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ‘২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেন লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাই সরকারে আসার পরেই এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হল। কিন্তু, আমার প্রশ্ন হল ২০১৯ সালে দেওয়া সিএএ-র প্রতিশ্রুতি পূরণ হলেও প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেন পূরণ হল না? নাকি বিজেপির ইস্তেহারে থাকা সব প্রতিশ্রুতিকে তারা সম্মান দেয় না?

জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী এভাবে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায় না। যদি এই ধরনের ঘটনা কেউ ঘটায় তাহলে তা মানুষকে ঠকানোর সামিল।’ সব মিলিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক প্রকার প্রতারণার মামলা দায়ের হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল পড়েছে।

Loading

Leave a Reply