ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে পঞ্চম মৃত্যু হল। তবে এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ষাটোর্ধ্ব বিদেশি পর্যটকের। ৬৯ বছরের ইতালীয় পর্যটক রাজস্থানের জয়পুর মারা গেলেন। সংক্রমণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। প্রতি ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসেছেন তাঁরাই অাক্রান্ত হচ্ছেন। বিদেশ থাকতেন বাড়ি ফিরেছেন, অথবা বিদেশে কোনও কাজে গিয়েছিলেন, এমন কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেই করোনা আক্রান্ত বাড়ছে ভারতে।
অর্থাৎ দ্বিতীয় স্টেপ চলছে করোনার। কিন্তু গোষ্ঠীবদ্ধ সংক্রমণ অর্থাৎ তৃতীয় স্টেজ এখনও শুরু হয়নি। আর এর ভয়েই সরকার বারবার চাইছে এই সংক্রমণ এড়াতে, বাড়ির মধ্যে থাকা এবং বিভিন্ন সর্তকতা। গোটা দেশেই টালমাটাল পরিস্থিতি। মুম্বই, পুনে, নাগপুর পুরোপুরি লকডাউন। অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত অফিস, দোকানপাট সমস্ত কিছু বন্ধ। কেবলমাত্র ব্যাংক, ওষুধের দোকান, দুধের দোকান অাতি দরকারি জিনিস পত্রের দোকান পাঠ খোলা থাকবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ২৫% সরকারি কর্মী নিয়োগ করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সমস্ত ভারতবর্ষের মধ্যে মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত। দিল্লিতে মল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, রাস্তাঘাট শুনশান। হরিয়ানায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। লখনউ, নয়ডা,কানপুরেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেঁস্তরাঁ, মল।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অফিসগুলোতে কাজ করার সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাড়িতে বসে কাজ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র কাল রবিবার করফিউ জারি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তৃতীয় স্টেজে এলে কষ্টকর হবে এর নিয়ন্ত্রণ। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি ভীষণভাবে সচেতনতা গ্রহণ করলেও মৃতের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সংক্রমণ দুশো ছাপিয়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে।