দেশ

মডেল কেরলে সিপিএম, আরএসএস ও কংগ্রেস একসাথে রান্না করে হাজার হাজার মানুষকে খাওয়াচ্ছে।

একের পর এক ঘটনায় কেবলমাত্র ভারতবর্ষ নয়, সারা বিশ্বের কাছে আস্তে আস্তে মডেল হয়ে উঠছে ভারতবর্ষের বাম শাসিত রাজ্য কেরালা। দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের হয়েছিল এই রাজ্যে। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৭। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২১৮ জন এখন চিকিৎসাধীন ১৬৭ মৃতের সংখ্যা মাত্র ২। এবং শেষ এক সপ্তাহে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও এবার এই রাজ্য সারাদেশকে শিক্ষা দিল। এমনিতেই সারাদেশের মধ্যে সবথেকে বেশি কমিউনিটি কিচেন চলছে এই রাজ্যে। কিন্তু এই মুহূর্তে সংবাদের শিরোনামে যে বিষয়টি জায়গা করে নিয়েছে তা হল কেরলের কান্নুর এই এলাকাতে তিন দশক ধরে সিপিএমের সাথে আরএসএসের সংঘর্ষ চলছে। দুইটি দলের সংঘর্ষে ২০০বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এই এলাকার এমনই অবস্থা যে, যে গ্রাম যার দখলে আছে সে অন্য দলের সমর্থকদের সেই গ্রামে ঢুকতে দেয় না। অথচ রাজ্যের দুর্দিনে এখানে সিপিএম, আরএসএস, কংগ্রেস এক হয়ে গেল। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুঃস্থ মানুষ, গরিব মানুষ, অসহায় মানুষের জন্য লড়াই চালাচ্ছেন এই মানুষগুলোই।এই এলাকার থালাসেরিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) বাসস্থান।



সিপিএম রাজ্য সম্পাদক কোদিয়ারি বালাকৃষ্ণণ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলিধরনও এখানেই থাকেন। এখন এই থালাসেরিতেই একসঙ্গে দুঃস্থদের জন্য রান্না করছেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI), আরএসএসের যুব সংগঠন সেবা ভারতী এবং যুব কংগ্রেসের কর্মীরা। জেলার সহকারী কালেক্টর আসিফ কে ইউসুফ এই তিন বিরোধী সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনেছেন। এদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজও তিনিই করছেন।থালাসেরির বিধায়ক এন শামসের বলছিলেন, “এটা রাজনীতি করার সময় নয়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে সবাইকে একসাথে নিয়ে এই কমিউনিটি কিচেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য অভুক্তদের খাবার দেওয়া। পতাকার রং দেখার সময় এখন নয়।” স্থানীয় বিজেপি নেতা এমপি সুমেশ বললেন, “গরিবকে খাবার দেওয়া আমাদের জাতীয় কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এই কঠিন সময়ে একে অপরকে সাহায্য করাই শ্রেয়।” নেটিজেনরা বলছেন কেরলের এই ঐক্যের ছবি দেশের অন্য রাজ্যের এবং রাজনৈতিক নেতাদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।




Loading

Leave a Reply