ঋদি হক, ঢাকাঃ- একদিনে আক্রান্তর রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। ২৪ ঘন্টায় ৫০৩ জন আক্রান্তর খবরে আমজনতার কপালে দুশ্চিতার ভাজ। প্রায় দেড় মাসে ৪৬৮৯ জন আক্রান্ত! শুক্রবার ৪জনসহ মৃতের সংখ্যা ১৩১। সুস্থ হয়েছেন ১১২। এই চিত্রটি খুব একটা আশা জাগায় না উদীয়মান অর্থনীতির বাংলাদেশের জন্য। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান। মসজিদে দল বেধে ইফতারি এবং ইফতার মাহফিল আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। পাশাপাশি তারাবির জামাতে ঈমামসহ মোট ১২ জন অংশ নেবেন। এর বেশি হলেই শাস্তি। শুক্রবার ধর্মমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
করোনার বিস্তার রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারের তরফে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। করোনা ভয়াবহতা রুখতে এর আগে সৌদী আরবসহ সকল ইসলামী দেশগুলো একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সাধারণের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ ফেলে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা হু হু বেড়েই চলেছে। কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। ৪ মাস হতে চললো, এ পর্যন্ত কোন প্রতিষেধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়। মাঝে মধ্যে পৃথিবীকে আশার আলো দেখিয়ে একটা ঘোষণা আসার পর মুহূর্তেই তা হারিয়ে যায় আন্ধকার গহ্বরে। সহসাই মারণব্যাধির দাওয়াই মিলবে তা এখন দুরাশায় পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের সামনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। তা সম্ভব না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। যেখানে উন্নত দেশগুলোর পরিস্থিতি সামাল দিতে বেহাল, সেখানে তৃতীয় বিশে^র দেশের পরিস্থিতি সহজেই অনুমেয়। বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। রপ্তানিখাতে পোশাক, চামড়া ছাড়াও অনেক খাত যুক্ত শতভাগ রপ্তানির আওতায়। যা প্রায় দু’মাসের মতো বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী ট্যানেল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেলসহ ১০টির বেশি বড় আকারের প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।