পুজোর মুখে সারা রাজ্যের মধ্যে হুগলি জেলাতে প্রথম কর্মসাথী প্রকল্পের ঋণের অনুমোদন দেওয়ার কাজ শুরু হল । শুক্রবার জেলার ১৭২জনের মধ্যে থেকে ১০১জনকে ঋণের অনুমোদন পত্র তুলে দেওয়া হবে। হুগলি ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লোন দেওয়া হবে। জেলায় এই ব্যাঙ্কের অধীনস্থ ২১টি শাখা রয়েছে। সর্বোচ্চ ঋণ দেওয়া হবে ২লাখ টাকা। এই টাকার মধ্যে ১২.৫শতাংশ সাবসিডি দেবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ ২লাখের মধ্যে ১লাখ ৭৫হাজার টাকা সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে ৩ বছরের মধ্যে। এই ৩বছরের মধ্যে যারা নির্দিষ্ট সুদ সহ টাকা শোধ করবেন তাঁদের উপরিপাওনা হিসাবে ৫০%শতাংশ সুদের টাকা সরকার উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়ে দেবে। অর্থাৎ সঠিক সময়ে সঠিকভাবে টাকা পরিশোধ করলে সরকার ঋনের সুদের উপরেও ৫০%সাবসিডি দেবে।বেকার ছেলে-মেয়েদের নিজেদেরকে স্বনির্ভর করার জন্য এই কর্মসাথী প্রকল্পে ঋণ নিতে গেলে সাধারনের ক্ষেত্রে ১০% ও বাকি কাষ্টদের জন্য ৫%টাকা দিতে হবে। ঋণের টাকা আসার আগেই শতকরা হারের সেই টাকা আপনাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে। অবেদনপত্র ঠিকঠাকভাবে করলে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই কর্মসাথী প্রকল্পের অনুমোদন পত্র তুলে দেওয়া হবে।
এদিন চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, অতিরিক্ত জেলাশাসকরা ও সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলাশাসক বলেন, ৯ই সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আমরা কর্মসাথী প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশ পাই। সেই মত আমরা ১৬ই সেপ্টেম্বর প্রথম জেলাস্তরে মিটিং করি। আর আজ হল ১৬ই অক্টোবর সারা রাজ্যের মধ্যে আমরাই প্রথম জেলা যারা ১মাসের মধ্যে ১০১জনকে কর্মসাথী প্রকল্পে ঋণের অনুমোদন পত্র তুলে দিলাম।
এ বিষয়ে হুগলি ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুজন সরকার বলেন, অনুমোদনপত্র গ্রাহকরা নিজের অ্যাকাউন্ট থাকা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিলে ৫০% করে মোট দু’ফায় ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি তিনি জানান ১৮থেকে ৫০বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতায় ন্যুনতম অষ্টম শ্রেনী উত্তীর্ণ মানুষরাই কর্মসাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।