১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলে যদি ট্রেন চলাচল করে তাহলে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার প্রায় দু’ঘণ্টা আগে যাত্রীদের স্টেশনে আসতে হতে পারে। কারণ থার্মাল স্ক্রিনিং সহ যাবতীয় চেকিং করতে গিয়ে যাতে কোনওভাবে যাত্রীরা যাতে ট্রেন মিস না করেন সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে জানা গেছে। এছাড়া কোনও যাত্রীর শরীর অসুস্থ থাকলে তা রেলকে ট্রেনযাত্রার প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে যাতে জানানো হয় সেই নির্দেশিকাও জারি হতে পারে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ১৪ তারিখ লকডাউনের মেয়াদ শেষে ১৫ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে ট্রেন পরিষেবা চালু হতে পারে বলে পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
তাই ট্রেন পরিষেবা চালু হলে কোনওভাবে যাত্রীদের থেকে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তারজন্য রেলের তরফে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। যদিও চূড়ান্তভাবে এখনও কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। তবে রেল পরিষেবা চালু হলেও যাতে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। লকডাউনের পরে কীভাবে ট্রেন চালানো যেতে পারে তা নিয়ে অনেকগুলি পরিকল্পনা করেছে রেল। এদিকে লকডাউন চলাকালীন যাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ কোনওভাবে ব্যাহত না হয় তারজন্য স্পেশাল ট্রেনের রুট বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এমনকী আরও বেশি পার্সেল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের ৫৮টি রুটে ১০৯টি পার্সেল ট্রেন চালানো হবে বলে রেলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে আদৌ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে কি না তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।