শহরে লকডাউনের জেরে এবার থেকে বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী মানুষদের বাড়ি বাড়ি ওষুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের হোম ডেলিভারি দেওয়া শুরু করল কাটোয়া থানার পুলিস। এরজন্য তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। বাড়িতে বসেই পুলিসের দেওয়া ওই নম্বরগুলিতে ফোন করলেই পুলিস কর্মীরা হাজির হয়ে হোম ডেলিভারি পরিষেবা দেবেন।
এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাটোয়া পুরসভার আওতাধীন মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই বিশেষ করে বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী মানুষদের এই সুবিধা দেওয়া হবে। কারণ অটো বা টোটো বন্ধ থাকায় তাঁদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তার জন্য আমাদের ফোন করলেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বা ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে লকডাউন। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাজারে ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় জরুরি পরিষেবা ছাড়া কোনও যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এরজন্য গৃহবন্দি থাকা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী মানুষদের ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাঁরা যাতে বাড়িতে বসেই ওষুধ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে পান তারজন্যই এই পরিষেব চালু করেছে কাটোয়া থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হোম ডেলিভারির জন্য তিনটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। ০৯৫৬৪৮০০৫৭৫, ০৯৬৪১৫১৮১২৭ এবং ০৩৪৫৩২৫৫০২৩ নম্বরে কাটোয়া পুরসভা এলাকার বাসিন্দারা বাড়িতে বসেই ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিস বাড়ির দরজায় চলে যাবে। তারপর বাসিন্দাদের কাছ থেকে ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা ও জিনিসের দাম নিয়ে চলে যাবেন। তারপর পুলিস কর্মীরাই কিছুক্ষণ পর সেগুলি বাসিন্দাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। কাটোয়া থানার এই হোম ডেলিভারি দেওয়ার উদ্যোগকে শহরের বাসিন্দারা সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
এদিকে, শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে গিয়ে গরিব, দুঃস্থদের বাড়ি থেকে যাতে তাঁরা না বের হন তারজন্য তাঁদের চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ বিলি করেছেন। বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিস বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন। এরপর হোম ডেলিভারি চালু করা হল।