একেই বলে রূপকথার গল্প। ভিখারী থেকে একেবারে রাজা হয়ে ওঠার রূপকথার কাহিনী অনেক শোনা যায়। বাস্তবে এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। আরামবাগ পৌরসভার ন পাড়ার বাসিন্দা নগেন দুলে। একসময় রাজমিস্ত্রি ছিল। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। স্ত্রী মাধুরী আর মা সরস্বতী লোকের জমিতে কাজ আর রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে কাজ করে করে কোনক্রমে অনটনের সংসার চালাতেন। নগেনের দুটি শিশু সন্তান আছে। লোকের জায়গার ওপর একটি ঝুপড়িতে 5 জনের সংসার। আজ সকালে নগেনের মা সরস্বতী দেবী ছেলেকে 50 টাকা দিয়েছিলেন দোকান করতে। তা থেকেই একটি লটারি টিকিট কেটেছিল নগেন। সন্ধ্যে গড়াতেই নগেনের বাড়িতে বহু মানুষের ভিড়। নগেন নাকি লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছে। নাগনের মা বলছে কোনরকমে দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে শিশু দুটিকে নিয়ে ত্রিপলের ছাউনি দেয়া ঝুপড়িতে রাত কাটাতেন।
আজকেও তৃণমূলের মিছিল চলে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরে শুনলেন তাদের ঘরে চাঁদ উঠেছে। লগনের বৌ মাধুরী বলছে বহু কষ্ট করেছি।। এবার একটা মাথার ওপর ছাদ দেওয়া ঘর তৈরি করব। ছেলে দুটো কে নতুন জামা কাপড় আর মাস্টার রেখে পড়ানোর ব্যবস্থা করব। নগেনের অবশ্য দেখা মেলেনি। সে কোথায় গেছে মা বা স্ত্রী বলতে পারছে না। আরামবাগ আন্দি মহলের এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে নগেন টিকিট কেটেছিল। সেই টিকিটের হোলসেলার আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড এর ভোলা মন্ডল বলছে নগেনের উচিত থানায় গিয়ে যোগাযোগ করে ব্যাংকের মাধ্যমে সঠিক পদ্ধতিতে টাকা ভাঙানো। টাকা হয়তো দুই এক দিনে উঠবে। এখন নগেনের ভাঙ্গা ঘরে একরাশ জ্যোৎস্না। হতদরিদ্র নগেন আজ পরশপাথরের সন্ধান পেয়েছে। আজ সে কোটিপতি।