গত দুদিনে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসব। বসন্ত উৎসবে রবীন্দ্রভারতী ক্যাম্পাসে একজন ছাত্রীর পিঠে রবীন্দ্রনাথের গানকে বিকৃত করে আবির দিয়ে লেখা অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের জেরে বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসে ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব। এমনকী কয়েকজন ছাত্রও তাদের বুকে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিগুলি মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার জেরে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিতর্কিত এ বসন্ত উৎসব কাণ্ডের জেরে শুক্রবার রাতে শিক্ষাদপ্তর ও রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। তবে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধে তিনি পদত্যাগ করছেন না বলে জানা গিয়েছে। একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, উপাচার্যকে বলা হয়েছে যে শিক্ষা দপ্তর তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে পারবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে তিনি কাজ চালিয়ে যান।
তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন বলে কথা দিয়েছেন। শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন উপাচার্য। তবে তিনি অফিসে ঢোকেননি। বিশ্ববিদ্যালয় দূরশিক্ষা বিভাগের পরীক্ষা চলছিল। তারই কন্ট্রোলরুমে তিনি দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান। পরে অবশ্য বিকেল চারটে নাগাদ তিনি অফিসে যান বলে জানা গেছে। তিনি ইস্তফা দিলে শিক্ষক সমিতি ক্লাস বয়কটের রাস্তায় হাঁটবেন বলে জানিয়েছিল। এমনকী ছাত্র-ছাত্রীদের তরফেও তাকে পদত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়। অবশেষে উপাচার্য তার সিদ্ধান্ত বদল করলেন। প্রসঙ্গত, বসন্ত উৎসবের দিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু ছাত্রীর পিঠে আবির দিয়ে লেখা ছিল রবীন্দ্রনাথের গানকে বিকৃত করে অশ্লীল কিছু শব্দ। সেই ছবি ভাইরাল হতেই সব মহল সমালোচনায় সরব হন। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এনিয়ে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ওই ছাত্র-ছাত্রীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অফিসে ডেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সরকার চায়নি তারা কঠোর কোনও শাস্তি পাক।