লোকসভার আগে থেকেই বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছে গেরুয়া শিবির। লোকসভায় তারা সাফল্য পেলেও এই মুহূর্তে সিএএ ইস্যুতে বাংলায় বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে পদ্ম শিবির৷ তাই এই মুহূর্তে বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রের শাসক দল মনে করছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেই। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সংবিধান তকমা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি বিরোধী প্রচার আরো জোরালো হতে শুরু করেছে। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে লোকসভার পরবর্তী অধিবেশন শুরুর আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
সেখানে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ঠাঁই পেতে পারেন বাংলার আরও দুই বিজেপি সাংসদ। তাদের লক্ষ্য একটাই রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যে বিজেপি কোনওভাবে বাঙালি বিরোধী নয়। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ টির মধ্যে ১৮টি আসনে জেতার পর বাংলা থেকে বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। তখন অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বর তরফে বলা হয়েছিল আরও কয়েকজনের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হবে। পৌষ সংক্রান্তির পর এই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে। নতুন মন্ত্রী হিসেবে কোনও আদিবাসী সাংসদের নাম প্রস্তাব করা হতে পারে।
পাশাপাশি বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, জলপাইগুড়ির জয়ন্ত রায় ও বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদারের নাম আলোচনায় উঠে আসছে। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই নতুন রাজ্য সভাপতির নাম দিল্লি থেকে ঘোষণা করা হবে। সে ক্ষেত্রে যদি দিলীপ ঘোষকে সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচন করা না হয় তাহলে তাঁকেও নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।