রাজ্য

সিএএ নিয়ে সংখ্যালঘুদের বোঝাতে মুসলিম নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মোট ৯টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন নাগরিকত্ব আইন তাঁরা কোনওভাবেই মেনে নেবেন না। এমনকী তাঁদের রাজ্যে এই আইনকে কোনওভাবেই কার্যকর করতে দেবেন না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ সংবিধানের ২৫৬ নম্বর ধারা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, এই ধারা অনুযায়ী রাজ্যগুলি সংসদের প্রণয়ন করা আইন মেনে চলতে বাধ্য। তাই নাগরিকত্ব আইন থেকে রাজ্যগুলির কোনও নিষ্কৃতি মিলবে না। কিন্তু সিএএ ইস্যুতে বাংলায় বিজেপি দিনদিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সিএএ নিয়ে রাজ্যে অন্যরকম কৌশল নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সিএএর বিরোধিতা করে এ রাজ্যের শাসক দল থেকে বিজেপি বিরোধী শক্তি ক্রমশ আন্দোলনের বাড়াচ্ছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে দলের সংখ্যালঘু নেতাকর্মীদের ময়দানে নামিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুদের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এর উপযোগিতা বোঝানোর কৌশল নিতে চলেছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভিকে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ পাওয়ার পরই সংখ্যালঘু কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেছেন নাকভি। যাতে নাগরিকত্ব আইন এর পক্ষে সচেতনতা কর্মসূচি নিতে পারে কমিশনও।

যদিও এ রাজ্যে দলগতভাবে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এ নিয়ে প্রচার করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে বিজেপিকে। কারণ এ রাজ্য থেকে জেলাজুড়ে বিজেপির তেমন কোনও সংখ্যালঘু মুখ নেই। এমনকী তাদের মুসলিম সমর্থক রয়েছে হাতে গোনা। তাই এই রাজ্যের মাটি শক্ত করতে সংখ্যালঘুদের নিজেদের দিকে টানতে বিজেপি তাদের মুসলিম নেতাকর্মীদের ময়দানে নামানোর পরিকল্পনা করলেও তা যে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে তা মানছেন দলেরই একাংশ।

Loading

Leave a Reply