কম্পিউটার ক্লাসের জন্য টাকা বাড়ানো হলেও সেই ক্লাসই করানো হয়না। এই দাবীতেই আজ ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো ভদ্রেশ্বর থানার তেলেনীপাড়া ভদ্রেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে। একসময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে ছাত্র ও অভিভাবকদের বাদানুবাদ চরম আকার ধারন করে। শুরু হয় হাতাহাতি, ঘটনায় ভেঙেচুরে তছনছ হয় বিদ্যালয়ের আসবাব পত্র, টেবিল পাখার মত সরকারি সম্পত্তিও। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বয়েজ এই স্কুলের অভিভাবকদের বক্তব্য এই বিদ্যালয়ের ৯ম এবং দশম শ্রেনীর ঐচ্ছকি বিষয়ে কেউ ইচ্ছে হলেই কম্পিউটার নিতে পারে। এতদিন কম্পিউটারের জন্য সরকারি নিয়ম মেনে বার্ষিক ৩০০টাকা করে নেওয়া হলেও সেভাবে কোন ক্লাসই করানো হতো না বলে অভিযোগ।
উল্টে আজ ২০২০শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় কম্পিউটারের জন্য ৬৪০টাকা দাবী করা হয়। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন অভিভাবকরা। এই নিয়েই দুপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। বাদানুবাদ হাতাহাতিতে পৌঁছয়। দুপক্ষের মধ্যে বচসার মাঝেই কেউ বা কারা ভাঙচুর চালায় বিদ্যালয়ের আসবাব পত্রে। চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অশোক কুমার শা সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য অভিভাবকদের বক্তব্য প্রতি বছর কম্পইটারের নামে টাকা নেওয়া হলেও আদতে কম্পিউটার ক্লাসই করানো হয়না। তারমধ্যেই ২০২০-র শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার ফিজ্ বাড়ানো হয়েছে। আমরা সেই টাকা দিতেই অস্বীকার করেছি। অভিভাবকদের সাথে সুর মিলিয়ে বিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যার শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস বলেন নবম শ্রেনীতে ইচ্ছুক বিষয়ে কম্পিউটারের সাথে শারীরশিক্ষাও রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই শুধু কম্পিউটার বিষয়টিকে তাঁদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যদিও এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনসা রাম সিং বলেন সব অভিযোগ মিথ্যা। তাঁর কথায় কম্পিউটারের জন্য ৩০০টাকার বেশী দাবী করা হয়নি।