খেলা

বছরের প্রথম ডার্বির রং সবুজ মেরুন, গোল করলেন বাবা

মরশুমের প্রথম ডার্বির রং হল সবুজ মেরুন। নতুন বছরের প্রথম ডার্বিতে বাজিমাত করল মোহনবাগান। একরাশ আনন্দ নিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে বাড়ি ফিরলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। সারা ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে গুরুত্বপূর্ণ এই ডার্বিতে ২-১ গোলে জয়লাভ করল মোহনবাগান শিবির। প্রত্যাশামতোই এদিন একরাশ আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মাঠ ভর্তি করেছিলেন দুই দলেরই সমর্থকরা। ডার্বি ঘিরে উত্তাপ আগের মতই ছিল টগবগে।

যদিও ম্যাচ শেষে জয়ের হাসি হাসল মোহন সমর্থকরাই। এদিন সবটাই যেন ভালো হচ্ছিল মোহনবাগানের পক্ষে। খেলার প্রথম অর্ধে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয় মোহনবাগানের ফুটবলাররা। প্রথম থেকেই তাদের পাসিং ফুটবলের জাদুতে কার্যত ছন্নছাড়া দেখায় ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে। খেলার বয়স তখন ২১ মিনিট। সেই সময় মোহনবাগানকে কাঙ্খিত গোলের লিড এনে দেন বাগানের ভরসাযোগ্য স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বেইতিয়া।

অনবদ্য মাইনাস থেকে দূরন্ত হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। প্রথম অর্ধে মোহনবাগান ফুটবলারদের আধিপত্য যথেষ্ট চোখে পড়ে। বিরতির পর ১-০ গোলে লিড নিয়েই খেলতে নামে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের গোলের ব্যবধান বাড়ান বাবা দিয়ারা। প্রসঙ্গত সবুজ মেরুন এর এই নতুন স্ট্রাইকার বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলে ফেলার পরেও একটিও গোল করতে না পারায় সমর্থকদের মধ্যে তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে তিনি যেন সমালোচনার জবাব দেওয়ার জন্য এই শ্রেষ্ঠ ম্যাচকেই বেছে রেখেছিলেন। মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোলটি করে ফেললেন ডার্বি ম্যাচেই। তবে এদিন পুরো মোহনবাগানের টিম গেম প্রশংসা পেয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটের মাথায় অবশ্য ব্যবধান কমান ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ ফুটবলার দে লা এসপাডা। তার পরেও অবশ্য ম্যাচের রঙ বদলানো যায়নি। এইটার বিজয়ের সুবাদে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষেই থাকল মোহনবাগান। প্রথম ডার্বি জিতে উচ্ছ্বসিত মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ কিভু ভিকুনাও।

Loading

Leave a Reply