জেলা

বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের তিন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুরু হলো বাণীপুর লোকউৎসব

বাংলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লোকসংস্কৃতি। এই লোক সংস্কৃতি দিন দিন লুপ্ত হতে চলেছে বাংলা থেকে। লোক সংস্কৃতির একাধিক মাধ্যমকে সমাজের সামনে প্রতিবছর তুলে ধরে ‘বাণীপুর লোকউৎসব’। শনিবার থেকে হাবড়ায় শুরু হলো এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব।
শনিবার উৎসবের উদ্বোধন করেন বাউল শিল্পী গোলাম ফকির। শিল্পী গোলাম ফকির ছারাও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শুভেন্দু অধিকারী এবং ব্রাত্য বসু।অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে বিদ্যাসাগরের নামে।

লোক সংস্কৃতির সংরক্ষণ, প্রচার,প্রসার এবং শিক্ষার সাথে মানুষের সম্পর্ক স্থাপন, সমাজ গঠন ও গ্রামীণ কুটির শিল্প বিপণনের উদ্দেশ্যে ১৯৫৫ সাল থেকে এই উৎসবের সুচনা হয়। লুপ্তপ্রায় লোক সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে নিয়ে এই লোক উৎসব সুদীর্ঘ ছয় দশক ধরে চলে আসছে। শান্তি নিকেতনের পৌষ মেলার পরেই রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহওম উওরচব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ার বানীপুর লোক উৎসব। এই উৎসবে বিখ্যাত নাট্যগোষ্ঠীর নাটক, যাত্রা গান, কবিগান, তরজা, বাউলগান, পুতুল নাচ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ আলোচনা করবেন বিভিন্ন বিষয়ে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে প্রদর্শনী এবং পুষ্প প্রদর্শনী চলবে মেলা কদিন।

এই অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, এই উৎসবের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ, রাজ্যে সরকারের বিভিন্ন দফতর এই উৎসবের সহযোগিতায় আছে। শুধু আমাদের রাজ্যে নয়, গোটা দেশ জুড়ে বাণীপুর লোকউৎসব চর্চিত। হাবড়ার ঐতিহ্যবাহী লোকউৎসব শুরু হয়েছে শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে, চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।বানীপুর মেলার মাঠে।

Loading

Leave a Reply