ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের ১৮৫ তম জন্মতিথি উৎসব পালিত হল যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে মঙ্গলবার ভোরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিথি উৎসব পালন। পাশাপাশি চলে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কামারপুকুর লাহাবাজার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কামারপুকুর মঠ হয়ে কামারপুকুর চটিতে এসে শেষ হয়। পরে ফের মঠ সংলগ্ন এলাকায় এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজ স্বামী লোকোত্তরানন্দজি মহারাজ। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার,পঞ্চায়েত প্রধান তপন মণ্ডল সহ অনেকেই।
এদিন দুপুরে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষকে প্রসাদ খাওয়ানো হয়। এ বিষয়ে মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ লোকোত্তরানন্দজি মহারাজ বলেন, মহারাজ ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের ১৮৫ তম জন্মতিথি উপলক্ষে চার দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শেষের দিন অনুষ্ঠিত হবে এলাকার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী ও ছাতা বিতরণ।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে এলাকা ছাড়াও দূর-দূরান্তের বহু মানুষ কাতারে কাতারে যোগদান করেন। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ট্যাবলো করা হয়। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রীরা ও ছাত্র ছাত্রীরা এই পদযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হন। কচিকাঁচারা কামারপুকুর মঠ ভিড় জমাতে থাকে। কলকাতা থেকে আগত পুণ্যার্থীরা, জানান প্রতিবছরই তারা ঠাকুরের জন্মতিথিতে কামারপুকুরে আসেন।
আনন্দ উপভোগ করার করার জন্য এ বছরও তারা যথারীতি এসেছেন। তারা মঠে এলে তারা আলাদা অনুভূতি পান।
অন্যদিকে, স্থানীয় গৃহবধূরা বলছেন তারাও এই ক’টা দিন খুবই আনন্দে থাকেন। উদ্বোধনের দিন তারা খুবই আনন্দ করল।