দেশ

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সন্দেহজনকদের হাতে স্ট্যাম্প দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার

সংক্রমণের আশঙ্কায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এমন ব্যাক্তিদের হাতে স্ট্যাম্প দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। জানা গেছে, মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে করোনার লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তিদের। এই ক্যাটাগরিতে যারা আছে, তাদের মধ্যে করোনার নির্দিষ্ট কারণ বর্তমান। অর্থাৎ তারা সর্দি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। এমনকী যাদের রক্তে করোনা মিলেছে, এই ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট আইসোলেশন কক্ষে। বি ক্যাটাগরিতে যেখানে ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট পরীক্ষার জন্য হসপিটালে রাখা হয়েছে। তাদের শারীরিক কষ্ট অাছে। তারা বাইরের দেশ থেকে এসেছেন এবং সর্দি কাশিতে অাক্রান্ত। তাদের হসপিটালেই স্পেশাল কেয়ারে রেখে সমস্ত লক্ষণ পর্যালোচনা চলছে। বিশেষত জানা যাচ্ছে করনার সংক্রমণ হচ্ছে মেন টু মেন। সেই কারণে এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হলেও তার প্রভাব বিস্তার করতে করতে এবং শারীরিক কষ্ট লাঘব হতে হতে ২৭ থেকে ৩০ দিন লেগে যাচ্ছে। সেই কারণে কাদের শরীরে প্রবেশ করে আছে করোনা, তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। শেষ ক্যাটাগরি হল ক্যাটাগরি সি।

এই ক্যাটাগরিতে যারা আছে তারা বাড়িতে সেলফ আইসোলেশনে আছে অর্থাৎ তারা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন আছেন। এই ক্যাটাগরির মানুষদের বাঁ হাতের কব্জির মধ্যে একটি করে স্ট্যাম্প দিয়ে দিচ্ছে সরকার এবং এই স্ট্যাম্পে লেখা থাকছে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন এবং যেদিন থেকে তিনি কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করছেন তার দিন উল্লেখ রয়েছে। করোনার সংক্রমণ হওয়ার নির্দিষ্ট দিন হল ২৭ থেকে ৩০ দিন। এই নির্দিষ্ট দিন তাদেরকে থাকতে হবে সি ক্যাটাগরিতে। তাদের আশপাশে যারা থাকবেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখবেন। যেহেতু সি ক্যাটাগরি মানুষরা বাড়িতে এবং অফিসে যাতায়াত করবেন সে কারণে প্রত্যেকেই যাতে তাদের চিনতে পারেন, সেজন্যই এরকম পরিকল্পনা নিয়েছেন সরকার। এই ক্যাটাগরি সি মানুষদের কোনও লক্ষ্মন না থাকায় তাদের দেখে বোঝার উপায় নেই যে তাদের করোনা আছে কিনা এবং তারা নিজেরাও যথেষ্ট চিন্তিত তাদের শরীরে করোনা বাসা বেঁধেছে কিনা। মুম্বাই বিমানবন্দর সহ মহারাষ্ট্রের প্রতিটি বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।

বিশেষত বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদেরকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য এই স্ট্যাম্প দিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন সরকার। এই খবর ছড়ানোর পর অনেকেই বলছেন কলকাতাতেও চালু করা হোক এই নিয়ম। এই নিয়ম চালু থাকলে হয়তো কলকাতাতে প্রবেশ করতে পারত না করোনা। কারণ গত রবিবার ব্রিটেন ফেরত ছেলেটিকে কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে সোজাসুজি বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও, ওই ছেলেটি তার বাড়ি ফিরে যায় এবং সে যে সমস্ত জায়গায় গেছে সে সমস্ত জায়গায় প্রত্যেকটি মানুষ চিন্তিত এবং তারাও করোনায় এফেক্ট হতে পারেন। বিমানবন্দরে যদি ওই ছেলেটির হাতে স্ট্যাম্প দিয়ে দেওয়া হতো তাহলে হয়তো আশপাশের মানুষ কিছুটা সতর্ক থাকতে পারতেন।

Loading

Leave a Reply