রাজ্য

নবান্নে করোনার থাবা, সিল করে দেওয়া হলো আমলার ঘর, চলছে দূষণ মুক্তির কাজ।

গতকালই প্রথম কলকাতায় কোরনা আক্রান্ত রোগীর দেখা মিলেছে। তার পরিবারের লোক নবান্নের গুরুত্বপূর্ণ আমলা আমলা। ৬ তলার একটি স্পেশাল ঘরে বর্তমানে সেই ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছে।আক্রান্ত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে স্পেশাল আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে৷ ওই তরুণ যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরও কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন ডাক্তাররা৷ সংক্রামিত তরুণের মা-বাবা ও পরিবারের অন্যদের বেলেঘাটা আইডিতে কোয়েরান্টাইনে রাখা হয়েছে৷ সমস্ত বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। অন্যদিকে নবান্নকে জীবাণু মুক্ত করার কাজ (Disinfection) শুরু হল। নবান্নের বিভিন্ন তলায় ও লিফটকে জীবাণু মুক্ত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নবান্নের ওই আমলার ঘর।

নবান্নের ষষ্ঠ তলায় ৫১১ নম্বর ঘরে বসতেন তিনি। মঙ্গলবার রিপোর্ট আসতে দেখা যায়, তাঁর ছেলে COVID-19 ভাইরাসে আক্রান্ত। কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্ত লন্ডন ফেরত ওই কিশোর।এখন স্বাস্থ্য দপ্তরের মূল লক্ষ্য যাতে কোনোভাবেই ওই রোগীর দেহ থেকে সংক্রামক অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে।সবথেকে চমকে যাওয়ার মত যা সামনে আসছে তা হলো সাধারণত জ্বর কিংবা জ্বর কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে করোনার উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে নাকি কোনো উপসর্গই ছিল না বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই তরুণ ইংল্যান্ডে একটি বার্থডে পার্টিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন, সেখানে তার বান্ধবী করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এটা জানার পরই ভারতে ফিরে গৃহবন্দী ছিলেন ওই তরুণ।গৃহবন্দী থাকলেও তার শরীরের জ্বর বা অন্য কোন লক্ষ্মন ছিলনা।

কিন্তু সোমবার থেকে অল্পবিস্তর উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এরপরই তাকে বেলেঘাটা আইডি তে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোমবার ভর্বি না হয়ে মঙ্গলবার ভর্তি হন তিনি। এদিনই তার পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অর্থাৎ লক্ষণ না দেখা গেলেও যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে সেটা এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার। অন্যদিকে যা চিন্তাই রেখেছে তা হলো ওই তরুণ তার মায়ের সাথে কলকাতায় দেদার ঘুরে বেরিয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে তিনি ও তার পরিবার ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন এবং কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তার খোঁজ চলছে।

Loading

Leave a Reply