স্বাস্থ্য

করোনার সাথে লড়াইয়ে আপনার প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মাস্টার কি।

আপনার কাছে মাস্টার কি আছে? তাহলে আপনার করোনা মুক্তি ঘটতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞমহল। চিকিৎসকরা বলছেন, ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি হলে করোনা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকে। এবার সহজভাবে বলা যাক ইমিউনিটি পাওয়ার আসলে কী? বায়োলজিক্যাল পদ্ধতিতে ইমিউনিটি পাওয়ারকে বিশ্লেষণ করা হয় লক অ্যান্ড কি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ শরীরের মধ্যে থাকে ইমিউনিটি ক্ষমতা অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে চাবি। যে চাবি প্রস্তুত থাকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য। সাধারণভাবে ধরে নেওয়া যাক আপনার কাছে আছে মাস্টার কি। তা দিয়ে বেশিরভাগ চাবিই অাপনি খুলে ফেলতে পারেন।

ঠিক সেরকম ভাবেই আপনার শরীরের মধ্যে যদি প্রচুর পরিমাণে ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ কি থাকে, তাহলে যেকোনও ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ হলে, সেই ভাইরাস সহজেই তৈরি হয়ে থাকা চাবি দিয়ে খুলে যেতে পারে। আমাদের শরীরের মধ্যে বেশিরভাগ ওষুধ এভাবে কাজ করে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ওষুধে থাকে সেই রোগের সুস্থ হওয়ার চাবিকাঠি। ধরুন আপনার সর্দি হয়েছে, আপনি ওষুধ খেলেন গ্যাসের। তাহলে কি আপনার সর্দি সারবে? সারবে না। অপরদিকে সর্দি কমার ওষুধ খেলে তবেই মিলবে সর্দি থেকে মুক্তি। ঠিক এভাবেই আপনার শরীরে যদি ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি হয় অর্থাৎ শরীরের মধ্যে যদি কোনওভাবে তৈরি হয়ে থাকে করোনা মুক্ত হওয়ার চাবিকাঠি, তবে সেই চাবি দিয়ে আপনার সহজেই মিলবে করোনা মুক্তি। করোনা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শরীরের মধ্যে কোনও সংক্রমণ থাকলেও তা কেবলমাত্র সর্দি, কাশি হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আপনার সংক্রমণ ততধিক বেশি হচ্ছে না। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফ্লু রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিকে ইমিউনিটি ক্ষমতা বলে।

এবার জেনে নেওয়া যাক ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি হওয়ার জন্য সাধারণভাবে আমাদের কী কী খাবার খেতে হবে। দিনে অন্তত এক বাটি করে টক দই খান। এতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে। চিজ খান, চিজে থাকে বিফিডো বাক্টেরিয়াম। ভিটামিন ডি ইমিউনিটি পাওয়ার তৈরি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি থাকে সূর্যের আলোতে। গ্রীষ্মকালেও সকালের দিকে অথবা বিকেলের দিকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন। এবার আসা যাক ভিটামিন এ-তে। ভিটামিন এ ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ায়। সবুজ শাকসবজি, ডিম, দুধ, মাশরুমে থাকে ভিটামিন -এ। আপনি সকালে মধু, আদা, লেবু দিয়ে চা খান। এতে সর্দি-কাশি প্রতিরোধ হবে। মধু হল অ্যান্টিসেপটিক। আদায় থাকে টক্সিন রিমুভ করার ক্ষমতা। অাদা শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখে।

লেবুতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই এগুলো রোজ সকালে আপনি খুব সহজেই খেতে পারেন ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য। মাথা ঠান্ডা রাখুন এবং রিলাক্সে থাকুন। মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য গান বা মেডিটেশন করতে পারেন। দিনে কুড়ি মিনিট মেডিটেশন করলে আপনার মাথা ঠান্ডা থাকবে। ঠিকঠাক সময়মতো স্বস্তিতে ঘুমান। তাহলে রিল্যাক্স পাবেন। ঠিকঠাক ঘুমালে শরীরে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অল্প কিছু ব্যায়াম বা যোগা করতে পারেন ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য। অল্প কিছু টাইম দ্রুত হেঁটেও নিতে পারেন। এর ফলে শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায়। স্ট্রেস কম হয়। করোনায় মুক্ত হতে গেলে স্মোকিং করা বন্ধ করে দিন। স্মোকিং আপনার শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার কমায়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক সময়ে সঠিক খবার খান। সঠিক সময় বিশ্রাম নিন।

Loading

Leave a Reply