ভারতবর্ষে যখন প্রথম কোন সংক্রমণ শুরু হয় তখন প্রথম সারিতে যে রাজ্যগুলি ছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো কেরল। মহারাষ্ট্র ও কেরলে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পৌঁছতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে করোনা সংক্রমণ রুখে দিয়েছে কেরল সরকার। এক সময় যেখানে মহারাষ্ট্র ও কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সমান সমান ছিল, বর্তমানে সেই সংখ্যার আকাশ জমিন ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ছাপিয়ে গেছে। এদিকে কেরলে আজ মাত্র একজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এনিয়ে কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯৬। উল্লেখযোগ্যভাবে করো না কে কার্যতঃ বশ করে ফেলেছে কেরল সরকার এ কথা বলতেই হয়। বর্তমানে যেখানে দেশে প্রায় ১ হাজার জন করে প্রতিদিন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সেখানে আজকের দিনে কেরলে মাত্র একজন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে দেশবাসী। এখন এ কথা বলতেই হয় বাকি রাজ্যগুলোতে যেখানে হু হু করে বাড়ছে ঘরনা সংক্রমণ সেখানে কীভাবে করোনাকে রুখে দিল কেরল সরকার! জানা যাচ্ছে হু এর গাইডলাইন মেনে কেরল সরকার সবথেকে বেশি জোর দিয়েছে নমুনা পরীক্ষার উপর। সেই কারণেই এই সাফল্য আসতে বেশি সময় লাগেনি বলেই দাবি করছেন অনেকে। এই মুহূর্তে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে আজকের দিনে কেরলে মাত্র একজন আক্রান্ত হওয়া যথেষ্ট স্বস্তির বলেই মনে করছেন সকলে। এখন প্রশ্ন উঠছে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে যেখানে করণা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেখানে কোন ফর্মুলায় কেরল সরকার এই মরণ ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখে দিল। তাহলে অন্য রাজ্যগুলি কেন কেরল মডেলকে অনুসরণ করছে না এই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আজকের দিনে মাত্র একজন আক্রান্ত হওয়া কেরল সরকারকে যথেষ্ট স্বস্তি দিচ্ছে।