ঋদি হক, ঢাকা:-বাংলাদেশেশে ৯০জন চিকিৎসকসহ দুই শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় সংক্রমিত। রয়েছেন কুড়ি জনের মতো সংবাদকর্মী। দেশটির সামাজিক সংতক্রমণ হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। কিন্তু হাটবাজারের হালহকিকত বিবেচনায় নিয়ে পরিষ্কার বলা যায়, পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে! কারণ, সহসাই এই মারণব্যাধির দাওয়াই মিলবে এমনটা দূর অস্ত! বিজ্ঞানিরা রাতকেদিন করে চলেছেন, কিন্তু দরজার সফলতার কড়া নাড়ছে না। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডেভিড নাবারো অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, এটা ধরে নেওয়া ঠিক নয় যে, খুব শীঘ্রই করোনাভাইরাসের কার্যকরি প্রতিষেধক মিলবে। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবনযাপন শিখতে হবে। সোমবার বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০জন মারা গেছেন। যা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০১ জনে। একদিনে নতুন ২৭৭৯ি করা হয়েছে। যার মধ্যে নতুন আরও ৪৯২জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এপর্যন্ত আক্রান্ত সংখ্রা দাঁড়ালো ২৯৪৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, নতুন আক্রান্ত ৪৯২ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯.৫% গাজীপুরের। ১৩.৫% কিশোরগঞ্জের এবং নরসিংদীর ৬%। মৃত ১০ জনের মধ্যে পুরুষ ৮জন এবং নারী দুজন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১০ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন এবং চল্লিশোর্ধ্ব দুজন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন ৫জন, নারায়ণগঞ্জে ৪জন এবং নরসিংদীতে ১জন মারা গেছেন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আগের মতোই উর্ধে রয়েছে। এদিন অনলাইনে বুলেটিন উপস্থানে করেন, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তার সঙ্গে ছিলেন অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ এবং তা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান।