কোভিড টেস্টের রিপোর্ট না মেলায় বর্ধমান হাসপাতালে মৃত ৩ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের মর্গে দেহগুলি রাখা আছে। দেহ না পেয়ে হতাশ মৃতদের পরিবারের লোকজন। রিপোর্ট মেলার পরই দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের বনমসজিদপাড়ার বাসিন্দা ফুলমনি দাস (৯৮)-কে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ভর্তির কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। কিন্তু, তাঁর দেহ পরিবারের হাতে এখনও তুলে দেওয়া হয়নি।
কাটোয়ার করোজগ্রামের প্রশান্ত পাল(৬০) হার্টের সমস্যায় ভূগছিলেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রবিবার তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তিনি মারা যান। তিনি কোভিড আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানতে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না মেলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও দেহ পরিবারকে হস্তান্তর করেনি। আরও একটি দেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মৃতের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট না মেলায় দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।
ফুলমনি দাসের নাতি বলেন, এতদিন হয়ে গেল এখনও করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসেনি। সেজন্য হাসপাতাল দেহ দিচ্ছে না। মৃতদেহের সৎকার হচ্ছে না। কবে রিপোর্ট মিলবে তাও হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে না। এনিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। প্রশান্ত পালের শ্যালক মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, জামাইবাবুর হার্টের সমস্যা ছিল। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর পর করোনা টেস্ট করা হয়েছে। রিপোর্ট না মেলায় মৃতদেহ পাচ্ছি না। বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি। দেহ নিতে এসে আমাদের ঘুরে যেতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃতদের লালারস পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি। রিপোর্ট এলে দেহগুলি তুলে দেওয়া হবে।